এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,২৩ জানুয়ারী : প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন৷ বুধবার আলিপুরদুয়ারের কালচিনির সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বার্লাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । আর সেখানে গিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন । এদিকে বার্লার এই দলত্যাগে বাবুল সুপ্রিয়র প্রসঙ্গ টেনে এনে দুই নেতার ‘পদের লোভ’ নিয়ে কটাক্ষ করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । জন বার্লার দলত্যাগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,’কিছু লোক আছে যাদের মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা ছিল না, মন্ত্রী হয়েছে, তারা মন্ত্রীর পদে ক্ষমতায় থাকতে চাই । বাবুল সুপ্রিয় অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন,গান বেঁধেছিলেন…’কালীঘাটের টালির চালা সব চোরেদের পাঠশালা‘ । সেই বাবুল সুপ্রিয় দুবার মন্ত্রী থাকার পর যখন তাকে সরানো হয়েছে তখন তিনি দল পরিবর্তন করেছেন৷ তাদেরকে মন্ত্রী থাকতেই হবে৷’
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়ায় বিজেপির সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাই বলেন বিরোধী দলনেতা । তিনি বলেন,’উনিও(জন বার্লা) মন্ত্রী ছিলেন, টিকিট পাননি,মনোজ টিজ্ঞাকে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন, হারাতে পারেননি । তিনি এখন ক্ষমতায় থাকতে চান । ক্ষমতায় থাকতে গেলে, যেখানে ক্ষমতা পাওয়া যায় নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সেখানেই গেছেন উনি । উনি তো বিজেপির কেউ নন৷ একজন সাধারণ মানুষ, প্রাক্তন মন্ত্রী। বিজেপির সদস্য পদের জন বার্লার আইটি নম্বর যদি দেখাতে পারেন তাহলে দুদিন ধরে এই মিডিয়া যে চাষ করছে এর উত্তর আমি দিয়ে দেব। জন বার্লা বিজেপির সদস্য পদ নেননি আমার বিজেপি ও তাকে সদস্যপদ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়নি । অতএব জন বার্লার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার গল্প এখানে নেই ।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন,’তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন । আমি যেমন ২০২০ সালের ১৯ এ ডিসেম্বর সব ছেড়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি । তিনিও দল পরিবর্তন করতে পারেন । কিন্তু এসব কথা সাজেনা । উনি টিকিট পাননি কেন উনি ভালো করে জানেন । আমি এসব কথা বলতে চাই না । আমি ফেব্রুয়ারি মাসে টি গার্ডেনে গিয়ে বলে দিয়ে আসব ।’ তিনি এটাও শুনিয়ে দেন যে জন বার্লার প্রাথমিক ও সক্রিয় সদস্য পদ বন্ধ হয়ে যাবে ।
আসলে ২০২৪ সালে জন বার্লাকে টিকিট দেয়নি বিজেপি । তারপর থেকেই বার্লার গলায় উলটো সুর শোনা যাচ্ছিল। দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন । খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু বরফ গলেনি । অবশেষে দলবদল ।।