এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,০৬ ডিসেম্বর : ‘সুমন মণ্ডল’ নামে ও পুলিশকর্মীর পরিচয়ে ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল খুলেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার আজাহার হোসেন৷ ওই ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী এক হিন্দু তরুনীর সঙ্গে সে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে । তারপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে আজাহার তার সঙ্গে সহবাস করে বলে অভিযোগ । কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় সামনে আসতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিত স্বাস্থ্যকর্মী তরুনী । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে ‘সুমন মণ্ডল’-এর ওই প্রোফাইলটি আদপে কেতুগ্রামের বাসিন্দা আজাহার হোসেনের এবং সে কেতুগ্রাম থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে কর্মরত । শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ৷
প্রতারিত স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশকে জানিয়েছেন,’সুমন মণ্ডল’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। তিনি সেটি গ্রহন করেন । তারপর ফেসবুকে কথপোকথনে ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশকর্মী হিসাবে পরিচয় দেয় । মাসিক বেতন ৭৮ হাজার টাকা দাবি করে । পুলিশ লেখা বাইক নিয়েও তার সাথে দেখা করতে দুর্গাপুরে আসত । যেকারণে তার উপর বিশ্বাস জমে যায় । ক্রমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হয় ।
নির্যাতিতার অভিযোগ,তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই যুবক । তারপর হুগলির চন্দননগরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে সে । সেখানেই ওই তরুনী আজাহার হোসেনের প্রকৃত পরিচয় জানতে পারেন । এরপর তাকে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালুরুতে চলে যেতে হয় ।
জানা গেছে,প্রতারিত স্বাস্থ্যকর্মী ব্যাঙ্গালুরু থেকেই ১৪ অক্টোবর জেলা পুলিশ সুপারকে ইমেল মারফত আজাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । পরে বর্ধমান মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রতারিত তরুনী । পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযোগ পেতেই ফেসবুক প্রোফাইল ও ফোনের সূত্রে প্রতারক সিভিক ভলেন্টিয়ারের যাবতীয় তথ্য জেনে যায় পুলিশ । তারপর থেকেই পুলিশ আজাহারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল । অবশেষে তাকে পাকড়াও করে আজ আদালতে পাঠানো হয় ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে।’।

