নীল পাঠক,নন্দীগ্রাম(পুর্ব মেদিনীপুর)৩০ নভেম্বর : তিনি কি এবার বিজেপিতে যাচ্ছেন? না আলাদা দল গঠন করবেন? মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী অবস্থান কি, তা জানার জন্য বঙ্গবাসী অপেক্ষায় রয়েছেন। সোমবার প্রথম নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে রাস উৎসবে যোগ দেন শুভেন্দু।বস্তুত এদিনও নন্দীগ্রামবাসী অপেক্ষায় ছিলেন তারা শুভেন্দুর মুখ থেকে তেমনই কিছু শোনার জন্য।কিন্তু এদিনও তিনি যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে মাতলেন হরিনাম সংকীর্তনে।রাজনীতির কথা এড়িয়ে শোনালেন হরিনাম মাহাত্ম্য।
এদিন নন্দীগ্রামে শতাব্দীপ্রাচীন রাসউৎসব পালিত হয়। প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে রেয়াপাড়া থেকে উৎসব কমিটি বিশাল বাইক মিছিল করে শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে আসেন নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের রাস উৎসব মঞ্চে। শুভেন্দুর কনভয়ের সামনে ও পেছনে বিশাল বাইক মিছিল দেখতে রাস্তার দুপাশে অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শুক্রবার। রবিবার মহিষাদলে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সভা করেছেন।সেখানেও তিনি রাজনৈতিক কথাবার্তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন।আর এদিনও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সংযত।
নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের এই রাস উৎসব এবার ছয় বছরে পড়েছে। উৎসব মঞ্চে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সেবক শুভেন্দু অধিকারী সব সময় আপনাদের সঙ্গে ছিল। ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে পাবেন। আমি সব অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামে আসি। এমন কোনও অনুষ্ঠান নেই যেখানে আমি আসিনি। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান, খেলা-মেলায় আসি। কিছুদিন আগে মহাষ্টমীতে এসেছি। দীপাবলিতে এসেছি, বড়দিন থেকে ইদ— সবেতেই আসি।আপনাদের পাশে আজীবন থাকবো।”
শুভেন্দুর কথায়, ‘‘রাসের মূল মাহাত্ম্য বলে— প্রভু দর্শন দিতে আসেন ভক্তদের। প্রভু এবং ভক্তদের মিলন ঘটে মহা রাসে। এটাই হল মূল তাৎপর্য।’
অনুষ্ঠান ধর্মীয় হলেও এদিন রাসউৎসবে অনেকেই আশা করেছিলেন নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই বড়সর রাজনৈতিক ঘোষণা কিছু করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এদিনও তার পরবর্তী অবস্থান ধোঁয়াশাই রয়ে গেল। অনেকেই তাই বলছেন, আসলে এখন ‘জল মাপছেন’ এই পোরখাওয়া নেতা।।