এইদিন ওয়েবডেস্ক,০৯ অক্টোবর : ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ‘হামাস’ জঙ্গিরা ৭০০-এর বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে এবং কয়েক ডজনকে অপহরণ করেছে । হামাসের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব । ইউএই ছাড়া বাকি ইসলামি রাষ্ট্রগুলি হামাসের সমর্থনে এগিয়ে এলেও অনান্য দেশ এখন প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে । তার মধ্যে অন্যতম হল অস্ট্রিয়া ও জার্মানি । অস্ট্রিয়া সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা বন্ধ করছে। জার্মানিও প্যালেস্টাইনকে কোনো সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে না বলে ঘোষণা করেছে । অস্ট্রিয়ার বিদেশমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেছেন,প্যালেস্টাইনে অস্ট্রিয়ার প্রায় ২০ মিলিয়ন ইউরোর কয়েকটি উদ্যোগের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছে ।
নিরপেক্ষ অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন রক্ষণশীলরা সম্প্রতি ইইউ-এর অন্যতম ইসরায়েল-পন্থী অবস্থান নিয়েছে। শনিবার গাজা উপত্যকা থেকে শুরু হওয়া হামাসের অতর্কিত হামলার পর অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের কার্যালয় ও বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ওপরে ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে । অস্ট্রিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওআরএফ রেডিওকে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে আমরা আগের মতো অবস্থানে ফিরে যেতে পারি না । তাই আমরা প্যালেস্টাইনে অস্ট্রিয়ান উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে সমস্ত অর্থপ্রদান আপাতত হিমঘরে পাঠাচ্ছি ।’ প্যালেস্টাইনকে ক্ষতিগ্রস্ত তহবিল এবং প্রকল্পের অর্থ সমস্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান ।
উল্লেখ্য, গাজা হল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস দ্বারা শাসিত একটি ফিলিস্তিনি ছিটমহল । ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত এই অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট হলেন মাহমুদ আব্বাস । অর্ধ শতাব্দী আগে ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের পর এই প্রথম ইসিরায়েলের উপর মারাত্মক হামলা চালালো ও সন্ত্রাসী সংগঠনটি । যাতে বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে । হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় ভয়ংকর বোমা বর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল । গতকাল পর্যন্ত ৪০০ ফিলিস্থিনির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । হামাসের কয়েক’শ ঠিকানা বোমা ফেলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী । হামাসের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহকে জব্দ করতে লেবানন সীমান্তে প্রচুর ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ইসরায়েল ।
হামাসের হামলার পরে রবিবার প্রতিবেশী জার্মানি ফিলিস্তিনিদের সাহায্য বন্ধ করা উচিত কিনা তা নিয়ে বিতর্ক করেছে, ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনজা শুলজে বলেছেন যে সরকার সর্বদা সতর্ক ছিল যে অর্থটি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য । আজ সোমবার তিনি বলেছেন যে বর্তমানে প্যালেস্টাইনকে কোন অর্থ প্রদান করা হচ্ছে না । প্যালেস্টাইনকে সাহায্যের প্রক্রিয়া হিমঘরে পাঠানো হল কিনা,সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,’আমি এই মুহুর্তে হিমায়িত শব্দটি ব্যবহার করব না, কারণ আমরা একটি যুদ্ধের মাঝখানে রয়েছি… প্রণয়ন স্থল পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় । আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ করছি এবং সবকিছু আবার পর্যালোচনা করছি ।’।