এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভিয়েনা,০১ ডিসেম্বর : অস্ট্রিয়ার রাজধানী শহর ভিয়েনায় মাত্র ১২ বছর বয়সী একটি মেয়ের সঙ্গে অবর্ণনীয় পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে । মেয়েটিকে মাসাধিক কাল ধরে ব্ল্যাকমেলিং করে গনধর্ষণ করেছে ১৯ জন মুসলিম শরণার্থী । বর্তমানে বিচার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদপত্র বিল্ড । ধর্ষকরা সিরিয়া,তুর্কি, একজন ইতালীয়, একজন বুলগেরিয়ান, একজন সার্বের নাগরিক । তাদের মধ্যে চারজন নাবালক । ধৃতরা সকলেই অপরাধের কথা কবুল করেছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,সিরিয়ার ১৭ বছর বয়সী আহমাদ দাবি করেছে যে সে জানত না যে মেয়েটি অত কম বয়সী । তবে সে মেয়েটির সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন। তাকে মামলার মূল অভিযুক্ত হিসাবে রাখা হয়েছে এবং মেয়েটিকে ব্লাকমেলিং করে সামুহিক দুষ্কর্মের পরিকল্পনার সেইই মাস্টারমাইন্ড । ১৯ জন নরপশুর বিরুদ্ধে মেয়েটিকে কয়েক মাস ধরে গণধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে । এমনকি সেই অশ্লীল দৃশ্যের ভিডিও রেকর্ডিংও করে রাখে তারা । ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে নেওয়া গণধর্ষণের ভিডিওগুলিকে ব্ল্যাকমেল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে তাকে আরও যৌনমিলনে বাধ্য করা হয়েছিল, কখনও কখনও সপ্তাহে একাধিকবার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গনধর্ষণ সংঘটিত হয় বিভিন্ন জায়গায় ৷ তারমধ্য একবার পার্কিং গ্যারেজে, একটি সিঁড়িতে এবং ভিয়েনার ১০ তম জেলার হেলমুট জিল্ক পার্কের কাছে ১৫ বছর বয়সী এক ধর্ষকের বাড়ির ভিতরে সংঘটিত হয়েছিল৷ এমনকি একটি হোটেল রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে মেয়েটির উপর ১৯ জন মিলে পাশবিক অত্যাচার চালায় ৷
মেয়েটি বলেছে যে আহমেদ তাকে প্রথমবার ওরাল সেক্স করতে শারীরিকভাবে বাধ্য করেছিলেন এবং সেই দৃশ্য সে ভিডিও রেকর্ড করে রাখে । সেই ভিডিও দেখিয়ে তাকে ব্লাকমেল করে সে এবং তার অভিবাসী বন্ধুদের দল মিলে কয়েক মাস ধরে তাকে বারবার সামুহিক দুষ্কর্ম করেছে। একটি ভিডিওতে, তাকে আট অভিবাসীর দ্বারা লাঞ্ছিত হতে দেখা যাচ্ছে যখন মেয়েটি চিৎকার করে বলছে,’থাম! আর পারছি না । ছেড়ে দাও আমায় ।’
অবশেষে, মেয়েটি কোনো রকমভাবে তাদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলে । এরপর নির্যাতিতার মা টিকটক এবং ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে অপরাধীদের ভিডিও এবং ফটো সংকলন করে এবং পুলিশকে সরবরাহ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, যার ফলে ১৯ জনকে গণগ্রেপ্তার করা হয় । কিন্তু অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী একমাত্র উমুত নামে এক আসামি ছাড়া অনেকেই গুরুপাপে লঘুদণ্ড পাবে । আহমেদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা চাইছেন নির্যাতিতার আইনজীবী ।।