এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৪ আগস্ট : ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে ২ রোহিঙ্গাকে পাচারের আগেই বাংলাদেশের ফেনীতে ধরা পড়ে গেল স্থানীয় এক মানব পাচারকারীসহ রোহিরা । ধৃতের মানব পাচারকারীর নাম মহম্মদ আব্দুল মান্নান (৩৪) । সে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কালিকৃষ্ণনগর এলাকার নতুন বাড়ির শফিকুর রহমানের ছেলে।রবিবার রাতে ফেনী শহরের মহিপাল পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ।
ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মহম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান,রবিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মহিপাল সিক্সলেন ফ্লাইওভার সংলগ্ন পাসপোর্ট অফিসের পাশে ফারহান ট্রাভেল কাউন্টারের সামনে থেকে দুই রোহিঙ্গা নাগরিক ও স্থানীয় যুবক মান্নানকে আটক করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মান্নানের কাছ থেকে দেশীয় তিনটি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যক্তির ১৭টি জাতীয় পরিচয়পত্র, বেশকিছু জন্মনিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন প্রকারের জাল কাগজপত্র ও ৯ হাজার ৭০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় ।আটক দুই রোহিঙ্গ হল : কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (১০নং) মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৫) ও আশিউর রহমানের মেয়ে মোসাম্মদ রমিদা (২৬)।
পুলিশের জিঙ্গাসাবাদে ধৃত রোহিঙ্গারা বলেছে, দালাল মান্নান ও তার সহযোগীরা ভারতে পাঠানোর নাম করে অর্থের বিনিময় পাচারের উদ্দেশে তাদের দুজনকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসে।
পরে তাদের ভারতীয় সীমান্তবর্তী পরশুরাম এলাকায় একদিন রেখে ফের ফেনী নিয়ে আসে। এ সময় অন্যের পরিচয় ব্যবহার করে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট বানানোর কার্যক্রম চালাতে থাকেন।এসআই মোস্তফা বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে দুই শরণার্থীকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের করার অভিযোগে আব্দুল মান্নানসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাচঁ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ধৃত দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আদালতে পাঠিয়ে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নেওয়া হবে। পরে তাদের উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।।