এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঠাকুরগাঁও(বাংলাদেশ),০৮ এপ্রিল : স্কুলের এক নাবালিকা হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণের পর তাকে নগ্ন করিয়ে অশ্লীল ছবি তুলে ব্লাকমেল করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক মুসলিম শিক্ষকের বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার(৬ এপ্রিল ২০২৩) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ উপজেলায় । উপজেলার কোঠাপাড়া বশভাংগা বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুসলিম মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবার বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে সামিল হয় এলাকার শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । বিষয়টি স্থানীয় থানাতেও জানানো হয় । কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ । এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।
জানা গেছে,বসভাঙ্গা বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তা দীর্ঘদিন ধরেই ওই হিন্দু কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল । মেয়েটি মুক্তারুলের কাছে টিউশনও পড়তো । নিজের ও পরিবারের বদনামের ভয়ে সে অবিভাবকের কাছে বিষয়টি গোপন করে যায় । এদিকে কিশোরী কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার পড়ানোর অছিলায় তাকে ডেকে পাঠায় মুক্তারুল ইসলাম । তারপর সে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে জোর করে নগ্ন করে শ্লীলতাহানি করে এবং মোবাইল ক্যামেরায় তার কিছু অশ্লীল ছবি তোলে । সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ায় ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মুক্তারুল ইসলাম । কিন্তু মেয়েটি তার কবল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে এসে পরিবারের লোকজনদের ঘটনার কথা জানিয়ে দেয় । এদিকে ঘটনার কথা চাওড় হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ।
জানা গেছে,বছর পঞ্চাশের মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও ৫ সন্তান । ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে স্কুলের একাধিক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠছিল । কিন্তু ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের মানসম্মানের কথা ভেবে বিষয়টিকে গোপন করে গিয়েছিল নির্যাতিতাদের পরিবার । কিন্তু এবারে ওই হিন্দু কিশোরীর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণের পর জলঘোলা হতেই অভিযুক্ত শিক্ষক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে বলে খবর । যদিও অভিযুক্ত শাস্তির দাবিতে অনড় ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের লোকজন ।
এদিকে মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার স্ত্রী তামান্না অক্তার লাকী দাবি করেছেন,ফাঁসানোর জন্য তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে স্কুলের একটি চক্র । তিনি তার স্বামীকে একজন ‘আদর্শ শিক্ষক’,’আদর্শ স্বামী’ ও একজন ‘আদর্শ পিতা’ বলে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন ।।