এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২১ অক্টোবর : “হুজুর”কে দাওয়াত না দেওয়ায় বিয়েবাড়িতে হামলা হয়েছিল । বিয়েবাড়ির লোকজন পালটা মারমুখী হয়ে উঠলে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়৷ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামে সোমবার উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে । সংঘর্ষে মহিলারা ও বিয়েবাড়ির পক্ষে নিমন্ত্রিতরাও যোগ দেয় । ফলে কার্যত রণক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয় গোটা এলাকা । সুযোগ বুঝে “হুজুর” -এর পক্ষের লোকজন বিয়েবাড়ির বিরিয়ানি, মিষ্টি এবং বেশকিছু রান্না করা তরকারির গামলা লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ । আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন,হেলাল উদ্দিন, ইমতিয়াজ, ফরিদ উদ্দিন, ওমর ফারুক, কোহিনুর বেগম, উম্মে কুলসুম, নাজিম উদ্দিন, মারজান উদ্দিন, সাইফুজ্জামান, শাহাবউদ্দিন ও মহিমা বেগম। গুরুতর আহত দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবার শাহাবউদ্দিনের ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে সমাজের হুজুরকে বাদ দিয়ে বাইরের এক হুজুরকে “দাওয়াত” দেওয়া হয়। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হন “হুজুর” হেলাল উদ্দিন ও তার অনুসারীরা। বিষয়টি মীমাংসার জন্য রবিবার বিকালে গ্রামে বৈঠক বসে। বৈঠকে প্রথমে তর্কবিতর্ক এবং পরে দু’পক্ষের হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে আহত ও বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের পারিবারিক হুজুরকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। এতে হেলাল মাঝির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ের দিন বাধা দেন। আজ আবার দোকানে গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায় । লুটপাট করে ।
অন্যদিকে আহত হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি স্থানীয় মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে বিষয়টি জানতে চাইলে, শাহাবউদ্দিন আমাকে হুমকি দেন। আজ আবার তার পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি খাবার লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন,খাবার লুট করব কেন? বাড়িতে খেতে পাইনা নাকি ? বিষয়টা আত্মমর্যাদার ।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল আবেদীন জানান, শাহাবউদ্দিন ও মারজান নামে দুজনকে জনরোষের কবল থেকে উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।