এইদিন ওয়েবডেস্ক,বসিরহাট,১৪ ফেব্রুয়ারী : বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হামলার ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে । বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার টাকিতে গাড়ির বনেটে উঠে সুকান্ত মজুমদার বিক্ষোভ দেখানোর সময় এক স্কার্ফ পরা মহিলা তাঁর হাত টানতে টানতে নিচে ফেলে দেয় । সুকান্ত অন্য একটা গাড়ির ইঞ্জিনের উপর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন । তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী ও বিজেপি নেতারা উদ্ধার করে দ্রুত বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন । সেখানেই একই স্বাধীন রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ।
জানা গেছে, আজ বুধবার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাটে প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি । সেখান থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল তার । কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সন্দেশখালির সাতটি পঞ্চায়েতের ১৯টি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ । যার মধ্যে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া রয়েছে। আন্দোলন মুলত শুরু হয়েছিল এই পাত্র পাড়া থেকেই । অপরদিকে, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে । এর মধ্যে দাউদপুর বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ।
জানা গেছে, বুধবার সকালে টাকির হোটেলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের কাছে গিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করার কথা জানিয়ে কর্মসূচি বাতিল করার জন্য বলে পুলিশ । কিন্তু সুকান্ত মজুমদার পূর্বনির্ধায়িত কর্মসূচি বাতিল করতে রাজি হননি । এরপরই সুকান্ত মজুমদার এ যাওয়া আটকাতে হোটেলের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতন করে রেখে দেওয়া হয় । তারই মাঝে সরস্বতী প্রতিমা প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বের হয়ে ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু করেন সুকান্ত । পরে তিনি পুলিশের গাড়ির উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । সুকান্তকে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘিরে রাখে ।
সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সুকান্তর নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনেই একজন স্কার্ফ ও শালোয়ার কামিজ পরা মহিলা প্রথমে এক নিরাপত্তার রক্ষীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ফেলে দেয় । তারপর সে সুকান্ত মজুমদারের ডান হাত ধরে করে টানতে শুরু করে । সুকান্ত মজুমদার পাশের একটি গাড়ির বনেটের বনেটের উপর পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান । ওই অবস্থাটি মহিলাকে তার হাত ধরে টানতে দেখা যায় । এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় । পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে । পাল্টা পুলিশের এলোপাথাড়ি মারে মাথা ফেটে যায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর । তবে মহিলা টানার কারণেই সুকান্ত মজুমদার অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয় ।
শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রাজ্য সভাপতি; ডাঃ সুকান্ত মজুমদার পুলিশের লাঠিচার্জের সময় আহত হয়েছেন, যারা বিজেপির কর্মকারদের সন্দেশখালীতে পৌঁছাতে বাধা দিতে পাশবিক শক্তি প্রয়োগ করছে । ডাঃ মজুমদারও একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। মমতা পুলিশের তাকে মারধরের জন্য লজ্জায় মাথা নত হওয়া উচিত। ক্ষমতার এই জঘন্য অপব্যবহারের নিন্দা জানাই।আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে লড়াই চলবে, শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে পর্যন্ত বিজেপি কার্যকর্তারা লড়াই চালিয়ে যাবে ।’।