এইদিন ওয়েবডেস্ক,মাথাভাঙ্গা(কোচবিহার),০৫ সেপ্টেম্বর : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ বা গনধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের নৃশংস বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদীদের উপর কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে । বুধবার সন্ধ্যায় মাথাভাঙ্গার চৌপথিতে রাত দখলের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে মাথাভাঙ্গা শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় ও তার দলবলের বিরুদ্ধে । অনুষ্ঠানের এক উদ্যোক্তা পেশায় পুরকর্মী প্রদ্যুত সাহার জামার কলার ধরে বেদম মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । জল ঢেলে মুছে দেওয়া হয় “চটি চাটা বন্ধ করুন” শ্লোগানসহ আঁকা আলপনা । এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি এই হামলাকে ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর ভয়াবহ, জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে অবিহিত করেছেন ।
আরজি করের তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে বুধবার রাত্রি ৯ টা থেকে ১০ পর্যন্ত বিদ্যুৎ আলো বন্ধ করে মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালিয়ে রাত দখলের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানের ডাক দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে । সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে উল্লিখিত কর্মসূচি পালন করে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষ । জানা গেছে,ভারতীয় গণনাট্য সংস্থা ও পশ্চিমবঙ্গ লেখক শিল্পী সংঘের উদ্যোগে মাথাভাঙ্গার চৌপথিতে মঞ্চ বেঁধে রাত দখলের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে পালন করা হচ্ছিল । বহু সাধারণ মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেন । মহিলারাও সামিল হন তাতে । তারপর রাতের দিকে মাথাভাঙ্গা শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে তার দলবল সেখানে হানা দেয় । প্রতিবাদী পুরুষদের জামার কলার ধরে বিশ্বজিৎ রায় ও তার গুন্ডাবাহিনী এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করে । পুরকর্মী প্রদ্যুত সাহাকে বেদম মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । উল্লেখ্য,সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রতিবাদীদের ‘শায়েস্তা’ করার নিদান দিয়েছিলেন । আর তাতেই অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বজিৎ রায় এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলা জুড়ে । তবে এনিয়ে রাতে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন,’কোচবিহার জেলা, তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এবং অন্যান্য তৃণমূলগুন্ডাদের দ্বারা মাথাভাঙ্গার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর ভয়াবহ, জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই ।প্রতিবাদী নাগরিকরা “রাত্রি পুনরুদ্ধার করুন” এবং “বিচারের জন্য আলো” আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিলেন, ডাক্তার সম্প্রদায়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে। দুর্ভাগ্যবশত, টিএমসি পার্টি সাধারণ নাগরিকদের দ্বারা রাজ্য জুড়ে মোমবাতির শিখার তাপ সহ্য করতে অক্ষম। তাই তারা জোর করে উড়িয়ে দিতে চায়। অসংস্কৃত টিএমসি গুন্ডারা এমনকি প্রতিবাদকারীদের আঁকা আলপনা মুছে দিয়েছে । দেয়ালে লেখা স্পষ্ট । পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জেগেছে । আমরা ন্যায়বিচার চাই ।’।