গণতান্ত্রিক দেশে আজ স্বাধীনতাটাই পরাধীন
ঘূণ পোকারা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে গণতন্ত্রের ভিত!
আমার চারপাশে পড়ে আছে তার ভগ্ন অবশেষ।
অসহায় মানুষের কণ্ঠরুদ্ধ,পকেটে কলম পুরে নিশ্চিন্তের ভাতঘুম,
আমার দেশটা আজ বড্ডো অচেনা মনে হয়,
অমানিশার প্রহর শেষে আবারো ফিরে আসে নতুন সকাল।
শুরু হয় নতুন করে বাঁচার তাগিদ…..
জীবন বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে মধ্যবিত্ত মানসিকতায়,
আমার শহর আজো এক নির্ভীক প্রতিবাদী মুখ খুঁজে যাচ্ছে,
রাজপথটা উন্মুক্ত উন্মুখ হয়ে আছে মিছিলে হাঁটবে বলে,,,,মৃত্যু মিছিল!
শবের গন্ধে বাতাস হয়েছে পূতিগন্ধময় ভারী,
যেন প্রাচীন কোনো মায়া সভ্যতার দ্রষ্টব্য কবর স্থান।
নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকি বিকৃত কামুক নপুংসকের দলের দিকে,
তারা হাতে তালি দিচ্ছে আর বীভৎস উল্লাসে নৃত্য করছে…..
গণতন্ত্রের প্রাচীন মহাভারত খানা আজ বুকের উপর পাথরের মতো চেপে বসেছে।
আকাশ বিদীর্ণ করে ঝরছে বর্বরতার আগুন,
পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে কলঙ্কিত সভ্যতা!
তোমার প্রতিবাদী সত্ত্বাটাকে জাগাও হে মানব,
তোমার দৃপ্ত কঠোর মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়ে ধ্বংস করো যত অনাসৃষ্টি।
কাকে বলছি, হায়! মেরুদন্ডহীন সরীসৃপ সম মানুষকে?
চারিদিকে জমাট আঁধারে মৃত্যু উপত্যকায় আজ প্রতিবাদ অস্তমিত ঐ গঙ্গায়…..
আত্মঘাতী অস্ত্রের আঘাতে অকাল মৃত্যু হয়েছে প্রতিবাদী ভাষার।
চতুর্দিকে মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিলের জন্মাচ্ছে অধিকার।।