এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,০৯ আগস্ট : “অপারেশন সিঁদূর” সামরিক অভিযানে ভারতের রাফেল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি করেছিল পাকিস্তান । পাকিস্তানের এই দাবিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র সরকারকে লাগাতার নিশানা করেছিল রাহুল গান্ধী ও তার দল কংগ্রেস । কিন্তু ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পাকিস্তানের এই দাবি অস্বীকার করলেও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ভারতীয় সেনাবাহিনী । এই প্রথম অপারেশন সিঁদূর নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী মুখ খুললো । আজ শনিবার বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং বলেছেন যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিন্দুরের সময় কমপক্ষে পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং একটি বৃহৎ বিমান ধ্বংস করেছে।
আজ হ্যাল ম্যানেজমেন্ট একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় বিমানবাহিনী প্রধান ভারতের দ্বারা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,’আমাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য আছে যে কমপক্ষে পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং একটি বৃহৎ বিমান ধ্বংস হয়েছে । যার মধ্যে একটি ELINT বিমান বা একটি AEW &C বিমান হতে পারে । যা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে আক্রমণ করা হয়েছিল। এটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপের রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড ।’
তিনি আরও বলেন,’আমরা মুরিদ এবং চাকলালার মতো কমপক্ষে দুটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র দখল করতে সক্ষম হয়েছি। কমপক্ষে ছয়টি রাডার, যার মধ্যে কয়েকটি বড়, কিছু ছোট। লাহোর এবং ওকারায় অবস্থিত দুটি SAGW সিস্টেম। আমরা তিনটি হ্যাঙ্গারে আক্রমণ করেছি। একটি ছিল সুক্কুর ইউএভি হ্যাঙ্গার, ভোলারি হ্যাঙ্গার এবং জ্যাকোবাবাদ এফ-১৬ হ্যাঙ্গার। আমাদের কাছে সেই AEW&C হ্যাঙ্গারে কমপক্ষে একটি AEW&C এবং কয়েকটি F-16 থাকার ইঙ্গিত রয়েছে, যেগুলি সেখানে রক্ষণাবেক্ষণাধীন ছিল ।’
চলতি বছরের ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর অপারেশন সিন্দুর শুরু করে ভারতীয় সেনা । সন্ত্রাসী হামলায় বেছে বেছে ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা । ভুল করে একজন স্থানীয় বাসিন্দাকেও মেরে ফেলে । ওই সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবি ওঠে দেশজুড়ে । প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার ফলে জৈশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিকেশ হয় ।
অন্যদিকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে সীমান্ত পেরিয়ে গোলাবর্ষণ করে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তুরস্কের নির্মিত ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করে, যার ফলে ভারত সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে এবং পাকিস্তানের নূর খান বিমান ঘাঁটি সহ ১১টি বিমান ঘাঁটির রাডার অবকাঠামো, যোগাযোগ কেন্দ্র এবং বিমান ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, পাকিস্তানি গোলাবর্ষণের ফলে ১৬ জন নিহত এবং ৫৯ জন আহত হয়৷ তবে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়নি ।।