এইদিন ওয়েবডেস্ক,প্যারিস,২২ জুন : ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে । প্যারিসের একটি ঐতিহাসিক ভবনও বিস্ফোরণের পর ধসে পড়ে । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটার দূরে ভবনগুলোর জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে । আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবন খালি করে দেওয়া হয় । স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ শ্রমিকরা যখন বাড়ি ফিরছিল সেই সময় নটর-ডেম দে প্যারিস ক্যাথেড্রাল এবং লুক্সেমবার্গ গার্ডেন থেকে অনতি দূরে পঞ্চমতম অ্যারোন্ডিসমেন্টে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে । বিস্ফোরণের সাথে সাথেই আগুনের দৈত্যাকার গোলা রুয়ে সেন্ট-জ্যাকসে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনের উঁচুতে উঠেছিল । প্রায় ৭০ টি ফায়ার ট্রাক এবং ২৭০ জন দমকলকর্মী আগুন নেভাতে ছুটে আসে ।
এদিকে ঘটনার পর ফ্রান্সের সেনা ঘটনাস্থলের চারপাশ ঘিরে ফেলে । প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস বলেছে যে বিস্ফোরণের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়,তদন্ত চলছে । ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমিন বলেছেন, এই বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন । কিন্তু স্থানীয় ডেপুটি মেয়র এডোয়ার্ড সিভেল একটি টুইটার পোস্টে গ্যাস বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করেছেন । ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বিএফএম টিভিকে বলেছেন যে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে গ্যাসের তীব্র গন্ধ বের হচ্ছিল ।
আমেরিকান একাডেমীর রাস্তায় একটি খাবারের দোকানদার রহমান অলিউর বলেন,’আমার দোকানটি প্রচণ্ডভাবে কেঁপে উঠল,বোমা বিস্ফোরণের মতো অনুভূত হয়েছিল ।’ বার কর্মী খল ইলসি বলেছেন যে তিনি রাস্তায় দৌড়ানোর আগে একটি “বিশাল বিস্ফোরণ”-এর শব্দ শুনেছিলেন এবং রাস্তার শেষে ভয়াবহ আগুনের গোলা দেখতে পান । প্যারিসের প্রসিকিউটর লর বেকুউ বলেন, প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে বিস্ফোরণটি ভবনের ভেতরেই হয়েছে । আবাসনগুলির কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে কিনা বা কোনও ব্যক্তির ভুলের কারনে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত,এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে প্যারিসের নটর-ডেম ক্যাথেড্রালে গ্যাস লিকেজের কারনে বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছিল । বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভবনের ছাদের বেশিরভাগ অংশ ধসে এবং আশপাশের বহু ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয় ।।