এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিয়েভ,০৭ সেপ্টেম্বর : বুধবার পূর্ব ইউক্রেনের একটি বাজারে রাশিয়ার হামলায় একজন শিশুসহ কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং আরও ৩২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লাইমেনকো । আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক নতুন যুদ্ধকালীন সহায়তা ঘোষণা করার জন্য কিয়েভে আসার কয়েক ঘন্টা পরে প্রায় ৭০,০০০ মানুষের বসতির ডোনেটস্ক অঞ্চলের কোস্তিয়ানতিনিভকার শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ।উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে । এদিকে এই হামলাকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি “ইচ্ছাকৃত” এবং “জঘন্য” বলে বর্ণনা করেছেন ।
ইউক্রেনের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যে পোস্টে তার প্রথম মন্তব্যে রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলের “প্রতি সেন্টিমিটার” মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন।
অন্যদিকে ‘ইউক্রেনকে যুদ্ধ যুক্ত রাখার’ জন্য ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ক্রেমলিন । প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল বলেছেন, ‘জঘন্য মন্দ । নির্লজ্জ দুষ্টতা। চরম অমানবিকতা । বিশ্বের যারা এখনও রাশিয়ান যেকোনো কিছুর সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে ।’ তিনি রাশিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং বলেন যে ঘটনাস্থলে “কোথাও কাছাকাছি” কোন সামরিক ইউনিট নেই ।
উল্লেখ্য,মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউক্রেন সফর করার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটল, যেখানে ওয়াশিংটন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি নতুন সাহায্যের কথা ঘোষণা করতে চলছে । বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সাথে একটি বৈঠকের সময়, ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ ও পূর্বে ভূখণ্ড মুক্ত করার লড়াইয়ে কিয়েভের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি কুলেবাকে বলেন,’শুধুমাত্র পাল্টা আক্রমণে সফল হওয়ার জন্য নয়, তবে দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনে আমরা ইউক্রেনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি ।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন,ব্লিঙ্কেন “ইউক্রেনের জন্য নতুন মার্কিন তহবিলের এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি” সহায্য ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে । অন্যদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে যে মার্কিন সহায়তা “বিশেষ সামরিক অভিযানের গতিপথকে প্রভাবিত করবে না” । ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করে বলেছেন,’যতক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেন শেষ না হয়,ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের যুদ্ধের অবস্থায় রাখতে চাইছে আমেরিকা ।’।