প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৭ মে : পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার কে ফেলে দিয়েই কি বিজেপি ২০২৪ সের লোকসভা ভোট করানোর ষড়যন্ত্র করছে?এই প্রশ্নের উত্তর বাংলার রাজনীতিকদের কাছে অজানা থাকলেও,এমনই ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত শুক্রবার মিলেছে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর কথায়।
পূর্ব বর্ধমানের কালনার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এখন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি।এদিন কালনায় দলের বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে বিশ্বজিৎ কুণ্ডু তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধে বলেন,’বিগত পৌরসভা ভোট ও তার আগের পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নেওয়া হয়েছে।মানুষ কে ভোট দিতে দেওয়া হয় নি।ছাপ্পা মেরে ভোট করেছে।এই ভাবেই এরা ক্ষমতায় থাকতে চায় কাটমানি খাওয়া ও লুটপাট চালানোর জন্যে।তাই সমস্ত নাগরিকদের বলবো আপনারা তৈরি থাকুন ২০২৪ সালে লোকসভা ও বিধানসভা দুটি ভোটই এক সঙ্গে হবে। পৌরসভা ভোটে ভোট দিতে না দেওয়ার রাগটা তুলে রাখতে হবে । ২০২৪ শে কেন্দ্রীয় সরকারের ফোর্সের দ্বারা যে ভোট হবে সেই ভোটে সবাই পদ্ম ফুল চিহ্নে ভোট দেবেন ।’
কালনার নতুন বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা থেকেএসএসসি দুর্নীতি নিয়েও বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ডু সরব হন
।তিনি এদিন বলেন,এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে ।আর সিবিআই তদন্ত হলেই দুধ আর জল ভাগ হয়ে যাবে। বর্তমানে হাইকোর্টের রায়েও সেটাই প্রমাণ হতে চলেছে ।’
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু
বলেন,’বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ
বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে । তার পরেও
বিজেপির নির্লজ্জ নেতারা বাংলা জয়ের স্বপ্ন
দেখছে। জনগনের ভোটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় সরকার গঠন করেছে । সেই সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হলে তার কি পরিণাম হবে সেটা বিজেপি নেতারা তখন হাড়ে সাড়ে টের পেয়ে যাবে ।’
অপর দিকে কালনার বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর এইসব বক্তব্যের পাল্টা বলেন,’চালুনি আবার সুচের বিচার করছে ।এই বিশ্বজিৎ কুণ্ডু দীর্ঘ দিন তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। গত বিধানসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন । তার পর সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজে স্বীকার করে ছিলেন,তিনি নিজেই চাকরি দিয়েছিলেন বিভিন্ন ছেলে মেয়েদের । বিশ্বজিৎতের এই বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচার হতেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।সেই বিশ্বজিৎ কুণ্ডুই এখন আবার এসএসসি নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলছে । এটাই সবথেকে বড় লজ্জার ।’ দেবপ্রসাদ বাগের এই বক্তব্য নিয়ে বিশ্বজিৎ কুণ্ডু অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কিছুই বলতে চাননি।