এইদিন ওয়েবডেস্ক,বহরমপুর,০৩ মে : মূর্শিদাবাদের বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীকে নৃসংসভাবে খুনের ঘটনায় আততায়ী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত যুবকের নাম সুশান্ত চৌধুরী ৷ তাঁর বাড়ি মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানা এলাকায় । একই এলাকায় বাড়ি নিহত তরুনী সুতপা চৌধুরীর । সোমবার রাতে খুনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খুনি যুবককে সামশেরগঞ্জে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । মঙ্গলবার ধৃতকে বহরমপুর আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় । ধৃতের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক ।
জানা গেছে,ইংরেজবাজারের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাসিন্দা স্বাধীন চৌধুরী ও পাপুলি চৌধুরীর একমাত্র সন্তান সুতপা । স্বাধীনবাবু হাইস্কুল শিক্ষক । পাপুলি চৌধুরী গৃহবধু । বহরমপুর গার্লস কলেজে জুওলজি ওনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সুতপা । মেসে থেকে তিনি পড়াশোনা করতেন । অন্যদিকে বিহারের পাটনার একটি কলেজের কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন সুশান্ত ৷ তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল । কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু সময় ধরে তাঁদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল । পড়াশোনার মনোনিবেশের জন্য সম্ভবত সুশান্তকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুতপা । আর তার ফলে সুশান্তর মধ্যে ধারনা তৈরি হয় অন্য কোথাও যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর প্রেমিক ।
সুতপা চৌধুরীর বাবার অভিযোগ,’সুশান্ত প্রায়ই আমার মেয়েকে কিছু ছবি দেখিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত । আমার মেয়ে সব কথাই ফোনে জানাতো । কিন্তু সুশান্ত যে এতবড় এক ঘটনা ঘটিয়ে দেবে কল্পনাও করতে পারিনি ।’
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সুতপাকে খুনের পর গোরাবাজারের পিছন দিকের রাস্তা ধরে পালায় সুশান্ত । তারপর পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সে দু’-দু’বার লাক্সারি ট্যাক্সি বদলায় । তারই মধ্যে গাড়ির ভিতরেই বদলে নেয় নিজের রক্তমাখা পোশাকটি । এদিকে ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়ে গেছে । সামশেরগঞ্জের রাস্তায় পুলিশের নাকা চেকিং দেখে ভয় পেয়ে সে ট্যাক্সি থেকে নেমে মিনিডোরের নীচে গিয়ে শুয়ে পড়ে । ভেবেছিল এভাবে সে পুলিশের নজর এড়িয়ে যেতে পারবে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পরে যায় অভিযুক্ত যুবক । খুনের মোটিভ জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ।।