এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,৩০ জুলাই : কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়েদার শাখা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ১২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে আসাম পুলিশ । তাদের আসামের মোরগাঁও, গুয়াহাটি, বারপেটা,গোয়ালপাড়া জেলার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম, জুবায়ের খান(২৫), রফিকুল ইসলাম(২৭),দেওয়ান হামিদুল ইসলাম (২০),মইনুল হক(৪২), কাজিবুর হোসেন(৩৭), মুজিবুর রহমান(৫০),শাহজাহান আলী(৩৪) ও শাহনূর আলম। জুবায়ের খান ছাড়া বাকিরা সবাই বারপেটা থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রজু করা হয়েছে । এর একদিন আগে মরিগাঁও জেলার মোরিয়াবাড়িতে মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি মুস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছিল আসাম পুলিশ । এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত বাকি পলাতক আসামিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
মরিগাঁওয়ের এসপি অপর্ণা এন বলেন,’ধৃতদের কাছ থেকে অবশিষ্ট নেটওয়ার্ক এবং তহবিলের উৎস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২টি মাদ্রাসা সিজ করেছে পুলিশ । মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সরকারি স্কুলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।’
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী,আল-কায়েদার বর্তমান প্রধান আল-জাওয়াহিরি ‘গো টু আসাম’ ঘোষণার পরেই নড়েচড়ে বসে আসাম পুলিশ । মরিগাঁওয়ে জামিউল হুদা মাদ্রাসা পরিচালনাকারী মুফতি মোস্তফাকে গ্রেফতারের পর ৩৯ বছর বয়সী আফসারউদ্দিন ভূঁইয়ার হদিশ পাওয়া যায় । তাঁকে
মরিগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয় । পাশাপাশি আব্বাস আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফেরার সন্ত্রাসবাদী মেহবুব উর রহমানকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । মরিগাঁওয়ের পুলিশ সুপার অপর্ণা এন বলেন, ‘মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি মোরিয়াবাড়িতে একটি মাদ্রাসা চালাতেন । তিনি উপমহাদেশে আল-কায়েদার সাথে সম্পর্কিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থায়নের সাথে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ এর বিভিন্ন ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে ।’।