জনক উবাচ ॥
অকিংচনভবং স্বাস্থ্যং কৌপীনত্বেঽপি দুর্লভম্ ।
ত্যাগাদানে বিহাযাস্মাদহমাসে যথাসুখম্ ॥ ১ ॥
অর্থ : শ্রী জনক বলেছেন – কিছু না থাকার অন্তর্নিহিত গুণটি কেবল একটি কটি-কাপড় দিয়েও অর্জন করা কঠিন। তাই ত্যাগ এবং প্রাপ্তি উভয় অনুভূতিকে পরিত্যাগ করে আমি সর্বদা আনন্দে বিরাজ করছি।
কুত্রাপি খেদঃ কায়স্য জিহ্বা কুত্রাপি খিদ্যতে ।
মনঃ কুত্রাপি তত্ত্যক্ত্বা পুরুষার্থে স্থিতঃ সুখম্ ॥ ২।
অর্থ : আসলে শরীরে ব্যথা নেই, কথার ব্যথা নেই, মনের ব্যথা নেই। সমস্ত প্রচেষ্টা ত্যাগ করে, আমি সমস্ত পরিস্থিতিতে আনন্দদায়কভাবে বিদ্যমান।
কৃতং কিমপি নৈব স্যাদ্ ইতি সংচিংত্য তত্ত্বতঃ ।
যদা যত্কর্তুমাযাতি তত্ কৃত্বাসে যথাসুখম্ ॥৩॥
অর্থ : বাস্তবে কোনো কাজ কখনোই করা হয় না।
এইভাবে বুঝতে আমি যা করতে হবে তা করে সব পরিস্থিতিতে আনন্দদায়কভাবে বিদ্যমান।
কর্মনৈষ্কর্ম্যনির্বংধভাবা দেহস্থযোগিনঃ ।
সংযোগাযোগবিরহাদহমাসে যথাসুখম্ ॥৪॥
অর্থ : যোগীরা, তাদের দেহের সাথে সংযুক্ত কিছু ক্রিয়া করার বা এড়ানোর ক্ষেত্রে চিন্তা করে।
এতে বন্ধন সৃষ্টি হয়।কিন্তু আমি সমস্ত পরিস্থিতিতে সংযুক্তি এবং বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি ত্যাগ করে আনন্দের সাথে বিদ্যমান।
অর্থানর্থৌ ন মে স্থিত্যা গত্যা ন শযনেন বা ।
তিষ্ঠন্ গচ্ছন্ স্বপন্ তস্মাদহমাসে যথাসুখম্ ॥৫॥
অর্থ : আমি, আসলে, বিশ্রাম, চলাফেরা, ঘুম, বসা, হাঁটা বা স্বপ্ন দেখার সময় কোন লাভ বা ক্ষতির সাথে একমত নই। তাই আমি সব পরিস্থিতিতে আনন্দদায়কভাবে বিদ্যমান।
স্বপতো নাস্তি মে হানিঃ সিদ্ধির্যত্নবতো ন বা ।
নাশোল্লাসৌ বিহাযাস্মাদহমাসে যথাসুখম্ ॥৬॥
অর্থ : আমি ঘুমের দ্বারা কিছুই হারাই না এবং কর্ম বা নিষ্ক্রিয়তার দ্বারা কিছুই পাই না। তাই আমি আনন্দ-বেদনার অনুভূতি ত্যাগ করে সব পরিস্থিতিতেই আনন্দময়ভাবে বিরাজ করি।
সুখাদিরূপা নিযমং ভাবেষ্বালোক্য ভূরিশঃ ।
শুভাশুভে বিহাযাস্মাদহমাসে যথাসুখম্ ॥৭॥
অর্থ : আমি অভিজ্ঞতা দ্বারা বুঝতে পারি যে আনন্দ এবং বেদনা বারবার আসে এবং যায়।
তাই শুভ (ভালো) এবং অশুভ (অশুভ) অনুভূতি ত্যাগ করে সব পরিস্থিতিতেই আমি সুখীভাবে বিরাজ করি।