এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২১ জানুয়ারী : ২০২০ সালে দিল্লিতে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গার মূল ষড়যন্ত্রকারী, মাস্টারমাইন্ড এবং অর্থায়নকারী ছিল তাহির হুসেন । কারকারডুমা আদালত তাহির হুসেন এবং আরও ১০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন সহ বেশ কয়েকটি গুরুতর ধারায় অভিযোগে জেলে পাঠিয়েছে । বর্তমানে ওই জঙ্গিরা কারাবন্দী । কিন্তু আসাদুদ্দিন ওয়াইসি তার দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’-এর পক্ষ থেকে তাহির হুসেনকে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে টিকিট দিয়েছে । তাই জেল থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া তাহির হুসেন । প্রথমে সে মনোনয়নের জন্য জামিন চেয়েছিল এবং এখন নির্বাচনী প্রচারণার জন্য জামিন চাইছে । এদিকে এই প্রকার জঙ্গিদের টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছে সুপ্রিম কোর্ট ।
তাহির হুসেনের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এবং বিচারপতি হাসানউদ্দিন আমানউল্লাহর একটি বেঞ্চে। আগে এই শুনানি আজ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরে তা আজ মঙ্গলবারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে, বিচারকদের মামলার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়, যার শুনানির পর বিচারপতি মিত্তল বলেন, ‘আজকাল, মানুষ জেলে বসেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে… জেলে বসেই নির্বাচন জেতা সহজ হয়ে গেছে।’ লাইভ ল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারপতি মিত্তাল আরও বলেন, তাহির হুসেনের মতো ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার জন্য এআইএমআইএম প্রার্থী তাহির হুসেনকে কিছুদিন আগে হাইকোর্ট হেফাজতের প্যারোল মঞ্জুর করে। সেই সময়, দিল্লি পুলিশ তার জামিনের বিরোধিতা করে বলেছিল যে তাহির হুসেন ছিলেন দাঙ্গার মূল ষড়যন্ত্রকারী, মাস্টারমাইন্ড এবং অর্থায়নকারী। তিনি ইউএপিএ এবং পিএমএলএ সহ তিনটি মামলায় কারাগারে আছেন। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) কর্মচারী অঙ্কিত শর্মা হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে, ট্রায়াল কোর্ট তাহির হুসেন এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১৪৭, ১৪৮, ১৫৩এ, ৩০২, ৩৬৫, ১২০বি, ১৪৯, ১৮৮ এবং ১৫৩এ ধারায় অভিযোগ গঠন করে। হুসেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫, ১০৯ এবং ১১৪ ধারায়ও অভিযোগ আনা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ শোনার পর, তাহির হুসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয় এবং কেবল মনোনয়নের জন্য তাকে হেফাজতের প্যারোল মঞ্জুর করা হয়। এখন তাহির হুসেন নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। এর আগে,সে ১৪ জানুয়ারী থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকার জন্য আবেদন করেছিল । এর আগে দিল্লির কারকারডুমা আদালত বলেছিল যে তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নেতৃত্ব দেওয়ার যাবতীয় প্রমান রয়েছে৷ কিন্তু তারপরেও এই ধরনের জঙ্গিদের টিকিট দেওয়ায় ফের আসাদুদ্দিন ওয়াইসির মানসিকতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল । অবশ্য সেই সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় তাহির হুসেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির কাউন্সিলার ছিল তাহির হুসেন ৷ ফলে কেজরিওয়ালের ভোটব্যাংকের ঘৃণ্য রাজনীতি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।।