এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৮ অক্টোবর : ২০২৬ সালে এরাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন । হাতে গোনা মাত্র কয়েক মাস বাকি । তার আগেই মালদা তৃণমূলে ভাঙন ধরালেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি । সোমবার সন্ধ্যায় মালদার রতুয়া-১নম্বর ব্লকের বাহাড়াল স্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত একটি যোগদান কর্মসূচিতে ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন(এআইএমআইএম)-এ যোগ দিল শতাধিক তৃণমূল কর্মী । নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন এআইএমআইএম-এর রতুয়া-১ ব্লক সভাপতি সেখ জাহাঙ্গির। যদিও এই যোগদানকে ভূয়ো বলে দাবি করেছেন রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অজয় সিনহা। তার কথায়, কেউ তৃণমূল ছাড়েনি । এটা দলবদলুদের নিয়ে যোগদানের নাটক করা হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন ।
প্রসঙ্গত,২৬-শের বিধানসভার ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস “টাফ ফাইট”-এর মুখোমুখি হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল । কারন এবারের নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) হচ্ছে । যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । বিজেপির দাবি যে মৃত, ডবল এন্টি,অস্তিত্বহীন এবং অনুপ্রবেশকারী ভোটার মিলে এক কোটির অধিক ভূয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে । ইতিমধ্যে এসআইআর-এর ম্যাপিং-এর কাজ সম্পূর্ণ । তাতে যা ফলাফল উঠে আসছে তা শাসকদলের জন্য যথেষ্ট মাথাব্যথার কারন হয়ে গেছে । সূত্রের খবর, যে সমস্ত বিধানসভার আসনে তৃণমূলের জয়ের মার্জিন এক লাখের অনেক নিচে সেখানে ম্যাপিং-এ ৩০ হাজার থেকে এক লাখ নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
সেই সাথে এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন এবং অন্যদিকে তৃণমূলের “হিন্দু বিদ্বেষী” মানসিকতা নিয়ে বিজেপির লাগাতার প্রচারে শাসকদলের হিন্দু ভোটব্যাংকে ধ্বস এবারের ভোটে মমতা ব্যানার্জির চিন্তার কারন হতে পারে । কারন রাজ্যে চোরাগোপ্তা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া রয়েছে । এর উপর যদি আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল মালদার মত মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে থাবা বসায় তাহলে মমতার ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে । কারন বিগত তিন মেয়াদে রাজ্যের ৩০ শতাংশের অধিক মুসলিম ভোটব্যাংক মূলত মমতার দখলেই ছিল । যা তাকে ক্ষমতায় আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল । এখন যদি সেই ভোটব্যাংকের কিছু অংশ কেটে যায় তাহলে ভোট কাটাকাটির অঙ্কে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে যাবে মমতার দল । যদিও রাজ্যে মমতারাজ নাকি পরিবর্তনের পরিবর্তন হবে সেটা জানার জন্য নতুন বছরের অন্তত এপ্রিল মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।।

