জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমান,১০ ডিসেম্বর :
একেই বলে ‘ডবল অ্যাটাক’! একদিকে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম জনিত বৃষ্টিপাতের কারণে রোপণ হওয়া হাজার হাজার বিঘা আলুর জমি জলের তলায়, অন্যদিকে সুযোগ বুঝে একদল অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বিগুণ দামে আলুর বীজ বিক্রির চেষ্টা – এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে কার্যত দিশাহারা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি-১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েক হাজার কৃষক।
আলুর ভাণ্ডার মেমারির চাষীরা বিপুল খরচ করে সম্প্রতি আলুর বীজ বপণ করে।নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টির ফলে সদ্য রোপণ করা আলুর জমি চলে গেছে জলের নীচে। নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। নতুন করে আলু রোপণ করার মত বীজ আলু চাষীর ঘরে নাই। বৃষ্টি থামার পর বীজ কিনতে গিয়ে তাদের মাথায় হাত! সুযোগ বুঝে একদল অসাধু ব্যবসায়ী কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও বা তারও বেশি দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ ।
ক্ষোভের মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি পাঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে বৃষ্টি থামার একদিনের মধ্যে কী করে পাঞ্জাবের বীজআলু মেমারি এসে পৌঁছে গেলো যেখানে পাজ্ঞাব থেকে মেমারি আসতে কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় লাগে ? এই প্রশ্নের মুখে নীরব থেকেছে স্থানীয় আলুবীজ ব্যবসায়ীরা।
মেমারি-১ নম্বর ব্লকের বিডিও শতরূপা দাস বললেন, ‘বিষয়টি কানে এসেছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’ কিন্তু কবে? ক্ষতিগ্রস্ত দু’চারজন চাষী আত্মহত্যা করলেই কি পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হবে? এই প্রশ্নই আজ মেমারির চাষীদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।।