এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা,১৩ জানুয়ারী : বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদা,মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ পরগণা জেলাগুলি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে কার্যত স্বর্গরাজ্য হয়ে গেছে । ওই সমস্ত জেলাগুলিতে গরু থেকে মাদক পাচারের করিডর হিসাবে বাংলাদেশের জঙ্গিরা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ । এদিকে অনুপ্রবেশ করাতে সমস্যা হবে দেখে ভারত উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটতারের বেড়া দিতে গেলে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিজিপি । এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ একটু সক্রিয় হতেই দেদার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে বিভিন্ন জেলাতে ।
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর থানার পুলিশ ৫ জন বাংলাদেশি পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে । বছর খানেক আগে তারা অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছিল ।সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুরের একটা পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত এবং এলাকার একটা বাড়ি ভাড়া করে থাকছিল । আজ সোমবার তাদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয় । তবে অনুপ্রবেশকারীরা পাকড়াও হতেই চম্পট দিয়েছে বাড়ির মালিক । পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
তবে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা থেকে একটা চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে । বামনগাছি থেকে পুলিশ নুরুল ইসলাম এবং শেখ রফিকুল নামে দুই বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে । দু’জনেই ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়ে ফেলেছিল । নুরুল ইসলাম নিজের নাম বদলে হয়ে গিয়েছিল নারায়ণ অধিকারী । বামনগাছির দত্তপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের পাকড়াও করে পুলিশ । এদিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়ে থাকায় চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পুলিশকে ।
দুই ২৪ পরগণার পাশাপাশি এদিকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ এক বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম পারভিন বেগম। তিনি মুম্বাইয়ের কবরখানা এলাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তাই তিনি মুম্বাই থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিলেন । আর ফিরতেই নদিয়ায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই মহিলা ।।