দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৪ এপ্রিল : গরম পড়তেই রক্তের আকাল শুরু হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডব্যাঙ্কে । বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মাত্র ১৯ বোতল রক্ত ছিল । কিন্তু দুপুর নাগাদ ৭ বোতল রক্ত খরচ হয়ে যায় । এ নেগেটিভ, বি পজিটিভ,ও নেগেটিভ এবং এবি নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের কোনও মজুতই নেই ব্লাডব্যাঙ্কে । ফলে রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে সঙ্কটে পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা । ব্লাডব্যাঙ্কের এই পরিস্থিতি দেখে রক্তদান করার করার আহ্বান জানিয়ে কাটোয়া শহরজুড়ে ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে কাটোয়া মহকুমা ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম ।
সারা বছর ধরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকে । কাটোয়া মহকুমা এলাকা ছাড়াও নদিয়া,মূর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা করাতে আসে । রোজ গড়ে নুন্যতম ২০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয় । কিন্তু বৃহস্পতিবার হেমরাজ ব্লাডসেন্টারে গিয়ে দেখা গেল মাত্র ১৯ ইউনিট রক্ত মজুত রয়েছে । তার মধ্যে ‘ও পজিটিভ’ ১৪ বোতল, ‘এ পজিটিভ’ ৩ বোতল, ‘বি নেগেটিভ’ এবং ‘এবি নেগেটিভ’ ছিল এক ইউনিট করে । দুপুরের পর সেটা কমে দাঁড়ায় ১২ ইউনিট ।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডসেন্টারের মেডিকেল অফিসার বাণীব্রত আচার্য বলেন,’দিন কয়েক আগে গুসকরায় একটি রক্তদান শিবির হয়েছিল । সেখান থেকে ৩৬ বোতল রক্ত এসেছিল । তারপর থেকে আর রক্তদান শিবির হয়নি । ব্লাডসেন্টারের অধীনে মাত্র দুটি শিবির হওয়ার কথা আছে । তাতে আর ক’দিন চলবে ?’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়,গরম কালে এমনিতেই রক্তের আকাল হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে । তার উপর রমজান মাস চলায় রক্তদান শিবির একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে । আগামী কয়েকদিনে আর হাসপাতালে আরও রক্ত সংকটের সৃষ্টি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ।।