এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২২ অক্টোবর : গাজাবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার সময় ইসরায়েল দিলেও হামাসকে সমর্থন করতে রয়ে গেছে বহু পরিবার । এখন খাদ্য,জল ও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন গুলির কাছে কাতর আকুতি জানাচ্ছে তারা । গাজা শহরের অন্তত পাঁচটি ত্রাণ সংস্থা, একটি যৌথ বিবৃতিতে এই শহরের মানবিক পরিস্থিতির প্রতি অবিলম্বে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, জাতিসংঘ শিশু তহবিল, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলকে পাঠানো একটি আবেদনপত্রে তারা জানিয়েছে যে গাজার মানবিক পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে খুব খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে । এরপর সংঘর্ষ হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠবে । এই সংস্থাগুলি বলেছে যে গাজা শহরে শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং বৃদ্ধ মিলে ১৬ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিকদের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
গাজা শহরের অর্ধেক জনসংখ্যা শিশুদের দ্বারা গঠিত বলে দাবি করে তারা একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যাতে অরক্ষিত মানুষদের আরও সাহায্য করা এবং মানুষের দুর্ভোগ কমানো সম্ভব হয় । এসব সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘারা শহরে আশ্রয়কেন্দ্র, স্বাস্থ্য সুবিধা,জল, পয়ঃনিষ্কাশন ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ বেসামরিক অবকাঠামোগুলিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবিরাম বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে,ফলে মৃত্যুর হার ত্বরান্বিত হচ্ছে । স্বাস্থ্য সুবিধা ও খাদ্যের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে । তারা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের উপযুক্ত সাহায্যের অনুমতি দিতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন, সাহায্য কর্মী এবং বেসামরিক সুবিধার সুরক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছে।
প্রসঙ্গত,সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের বর্বরোচিত নাশকতার পর ওই গোষ্ঠীকে নির্মুল করার প্রতিজ্ঞা করে ইসরায়েল । গাজায় হামাসের ঠিকানাগুলিতে হামলার আগে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু অর্ধেকের বেশি মানুষ গাজা ছেড়ে চলে গেলেও বাকিরা হামাসকে সমর্থন করতে গাজা উপত্যকায় থেকে যায় । আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গাজার বাসিন্দাদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে ইসরায়েলের উপর নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি । ফলে গাজায় জনবসতি এলাকায় হামাসের ঘাঁটিতে ইসরায়েলের বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করলেই সন্ত্রাসীদের সাথে সাথে মারা যাচ্ছে গাজার কিছু মানুষ ।
তবে মিশরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে গাজায় মানবিক সাহায্য আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে । ফিলিস্থিনিরা যাতে দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য রাফাহ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল মিশর । কয়েকদিন অপেক্ষার পর অপেক্ষমাণ ট্রাক থেকে মাত্র ২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে । যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য । গাজায় মানবিক সাহায্য না পৌঁছতে পারায় মিশর অনেকাংশে দায়ি বলে মনে করা হচ্ছে ।।