দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৮ সেপ্টেম্বর : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীর সঙ্গে সহবাস এবং অন্য এক কিশোরীকে অপহরণের দুই পৃথক ঘটনায় এক কিশোরসহ ২ জনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম বিমল মাঝি(২০) ও সুজয় ভুইয়া(১৮) । ধৃতদের মধ্যে প্রথম জনের বাড়ি ভাতার থানার ওড়গ্রামে । দ্বিতীয়জন মঙ্গলকোট থানার ক্ষীরগ্রামের মনসাতলার বাসিন্দা । বুুুধবার রাতে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে খবর,ভাতার থানার ওড়গ্রামের বাসিন্দা বিমল মাঝিদের বাড়ির পাশেই বাড়ি বছর সতেরোর নির্যাতিতা কিশোরীর ।কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিগত দেড় দু’বছর ধরে বিমল তার সঙ্গে সহবাস করে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ । বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী । সম্প্রতি কিশোরী ও তার পরিবারের লোকজন বিমলকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল । কিন্তু বিমল বেঁকে বসে । এরপর সোমবার কিশোরীর পরিবার এনিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রজু করে এদিন আদালতে পাঠায় ।
অন্যদিকে জানা গেছে,মঙ্গলকোট থানার ক্ষীরগ্রামের মনসাতলার বাসিন্দা সুজয় ভুঁইয়া নামে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ভাতার থানার দাওড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বছর চোদ্দোর এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে । কিশোরী মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী । প্রায় ৯ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি । এরপর গত ৩০ আগস্ট মেয়েটির বাবা সুজয়ের বিরুদ্ধে ভাতার থানায় অপহরণের মামলা রজু করে । তার ভিত্তিতে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । উদ্ধার করা হয় কিশোরীকেও ।
যদিও সুজয় ভুঁইয়ার পরিবারের দাবি, মেয়েটির সঙ্গে সুজয়ের ফোনে আলাপ ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । সেই সুত্রে মাস ছয়েক আগে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে ক্ষীরগ্রাম চলে আসে । এনিয়ে মিমাংসা হলে তাঁরা মেয়েটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় । কিন্তু ৯ দিন আগে ফের পালিয়ে সুজয়ের কাছে চলে গিয়েছিল ওই কিশোরী । কিন্তু মেয়েটির পরিবার উলটে সুজয়ের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রজু করেছে বলে তাঁদের অভিযোগ ।।