এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,০৯ ডিসেম্বর : পোলট্রি ফার্মের আড়ালে ভালোই চলছিল গাঁজা পাচারের ব্যাবসা । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । গোপন সুত্র থেকে খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে গোপনে চলা মাদক ব্যাবসার পর্দাফাঁস করল বীরভূমের সদাইপুর থানার পুলিশ । পোলট্রি ফার্মের নিচে একটি চোরা কুঠুরি থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমান গাঁজা । বুধবার গভীর রাতে সদাইপুর থানার অন্তর্গত কচুজোর গ্রামে হানা দিয়ে ৪০ টি বস্তা ভর্তি প্রায় ২ কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে । পাশাপাশি কচুজোর গ্রামের বাসিন্দা পোলট্রি ফার্মের মালিক প্রদীপ গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
পুলিশ সুত্রে খবর,কচুজোর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ গড়াইকে সাধারনত পোলট্রির মুরগির ব্যাবসায়ী বলে চেনেন এলাকার বাসিন্দারা । দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এই ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । গ্রামের বাইরে মাঠের মধ্যে রয়েছে তাঁর পোলট্রির ফার্মটি। কিন্তু মুরগির ব্যাবসার পাশাপাশি তলায় তলায় তিনি যে গাঁজা পাচারের ব্যাবসা চালাচ্ছিল সেটা কেউই টের পায়নি । বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর ছিল যে ওই ব্যক্তি পোলট্রি ফার্মের পাশাপাশি গাঁজা পাচারের সঙ্গেও যুক্ত । বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার রাতে ডিএসপি (ডিএনটি),সিআই(সদর) ও ওসি সদাইপুর থানার নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী কচুজোর গ্রামে অভিযান চালায় । সেখানে যাওয়ার পর সন্ধান চালাতেই ওই ব্যক্তির পোলট্রি ফার্মের নিচে মাটির তলার একটা সুরঙ্গ নজরে পড়ে পুলিশের । ওই সুরঙ্গের ভিতরেই রাখা ছিল ৪০ টি বস্তা ভর্তি গাঁজা । পুলিশ ওই বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধারের পাশাপাশি পোলট্রি ফার্ম মালিককে গ্রেফতার করে ।’
পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারা গেছে সাধারনত রাতের বেলাতেই আসত মুরগির বাচ্ছা(চিক) । আর তারই মধ্যে গোপনে সরবরাহ হত মুরগির গাড়ি ভর্তি গাঁজা । ফার্মের নিজে চোরা কুঠুরির নিচে ওই গাঁজা মজুত করে রেখে দেওয়া হত । পরে সেখান থেকে পাচার করে দেওয়া হত বিভিন্ন জায়গায় ৷ পুলিশের অনুমান এর পিছনে কাজ করছে একটি বড়সড় চক্র । চক্রের বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতকে ম্যারাথন জেরা শুরু করেছে পুলিশ । এদিকে প্রদীপ গড়াইয়ের এই কীর্তির কথা শুনে হতবাক গ্রামবাসীরা ।।