প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ আগষ্ট : গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ব্যাপক মারধোর করে এক তৃণমূল নেতার পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ছয় জন। ধৃতদের নাম নিতাই মাল, বাবর আলি মল্লিক, শেখ আনারুল হক ওরফে ভুটু, শেখ সুকুর মহম্মদ, শেখ সামসের আলি ওরফে জোবেদ, আবির হোসেন মণ্ডল ওরফে মানিক ও শেখ নুরুল হক।ধৃতদের মধ্যে নিতাইয়ের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুল উন্নয়নী এলাকায়।বাকিদের বাড়ি জেলার রায়না থানার জোতসাদি, বাঁধগাছা ও বামুনিয়া এলাকায়।জোতসাদির তৃণমূল নেতা গোলাম মোস্তাফা মল্লিক ওরফে লালো কে নির্মম ভাবে
পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে রায়না থানার পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।ধৃতদের কাউকে হেপাজতে নিতে চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন জানায়নি ।সিজেএম চন্দা হাসমত ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে আগামী মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার
সন্ধ্যা নাগাদ গোলাম মোস্তফা মল্লিক বাইকে চেপে বর্ধমান থেকে জোতসাদির বাড়িতে ফিরছিলেন।জোতসাদি গ্রামের বুমুরি মোড়ের কাছে রড, লাঠি, বাঁশ, উইকেট প্রভৃতি নিয়ে ধৃতরা সহ বেশ কয়েকজন তাঁর উপর হামলা চালায়। বাইক থেকে নামিয়ে মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়। মারধরে তাঁর পা ভাঙে।তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান শহরের উল্লাস এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় ।
এই ঘটনার বিষয়ে মোস্তফার ছেলে সাবির মল্লিক রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ,“ পূর্ব শত্রুতার জেরে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বাবার উপর হামলা চালানো হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাবাকে আঘাত করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বেআইনি জমায়েত, মারধর, ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করা ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ।।