এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৮ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুইনি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় জ্যোতিষী নিবাস দাসের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । সশস্ত্র ডাকাতদল লক্ষাধিক টাকার সোনারূপোর গহনা লুটপাট তো চালিয়েছেই, পাশাপাশি বাড়ির পোষ্য দেশি কুকুরটা পর্যন্ত অপহরণ করেছে । খবর পেয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাটোয়াসহ আশপাশের থানার আইসি, ওসিরা । ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ । তবে আজ শনিবার পর্যন্ত ডাকাতদলকে পুলিশ চিহ্নিত করতে পারেনি বলে জানা গেছে । পুলিশ সূত্রে খবর,ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদল এনে ডাকাতদলটি চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে । এদিকে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
জানা গেছে,নিবাস দাসের বাড়ি কাটোয়া থানার ঘোড়ানাস গ্রামে । পুইনি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি । প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছেন । বাড়ির পাশেই পারিবারিক মন্দির চত্বরে বসেই তিনি জ্যোতিষ চর্চা করেন। বাড়িতে রয়েছেন,বৃদ্ধ বিধবা শাশুড়ি খুকুদেবী, স্ত্রী চায়নাদেবী,এক ছেলে রাকেশ এবং এক মেয়ে প্রতিমা। ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করেন। স্ত্রী গৃহবধূ ।
পরিবার সূত্রে খবর,শুক্রবার নিবাসবাবু তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে জয়রামবাটি বেড়াতে গিয়েছিলেন । বাড়িতে ছিলেন নিবাসবাবুর শাশুড়ি খুকুদেবী, খুকুদেবীর এক দিদি সীমাদেবী ও এবং রাকেশ । রাকেশ জানিয়েছে,প্রতিদিন রাতে বাড়ির সদস্যদের খাওয়া দাওয়ার পর কুকুরটিকে খাওয়ানো হয় । তারপর শৌচকর্মের জন্য কুকুরটিকে একবার বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় । শুক্রবার রাত প্রায় পৌন এগারোটা নাগাদ সে যখন পোষ্যকে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবে সদর দরজা খুলেছে, সেই সময় ৬-৭ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল হুড়মুড়িয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে ।
রাকেশ জানিয়েছে,একজন ডাকাত তাকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায়৷ তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে প্রাণে বেঁচে যায় । সে প্রতিরোধ করলে অন্য এক ডাকাত তার হাতে ভোজালির কোপ বসিয়ে দেয়৷ এরপর ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে গহনা লুটপাটের পাশাপাশি দুস্কৃতীরা বলতে থাকে ‘কোথায় টাকাগুলো রাখা আছে বের কর।’ এদিকে খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন নিবাস দাস । তিনি জানিয়েছেন,৭ ভরি সোনা ৩৫ ভরি রূপোর গহনা সহ নগদ কিছু টাকা লুটপাট করেছে ডাকাতদল । পাশাপাশি বাড়ির পোষা দেশি কুকুরটিকে পর্যন্ত তারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে । ডাকাতির ধরন দেখে নিবাসবাবুদের অনুমান যে দুর্বৃত্তদের ওই দলটি দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের বাড়ির উপর নজর রাখছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে ।।