এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৫ মার্চ : দিল্লিতে বিজেপির হেডকোয়ার্টারে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিবির বদল করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং অর্জুন সিং ৷ বৃহস্পতিবার অর্জুন সিং জানিয়েছিলেন যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন এবং তার পাশাপাশি আর এক বড় ব্যক্তিত্বও বিজেপিতে যোগদান করবে বলে জানান । তবে তিনি সেই ব্যক্তিত্বের নাম প্রকাশ্যে আনেননি । অবশেষে জানা গেল যে অর্জুনের সেই বড় ব্যক্তিত্ব হলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী । বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত থেকে পদ্মফুল চিহ্নিত পতাকা হাতে তুলে নিয়ে যোগদানের পর পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হন অর্জুন-দিব্যেন্দু ।
দুজনার বক্তব্যতে উঠে আসে সন্দেশখালীর ঘটনার কথা । পাশাপাশি মাঝে দল বদলের কারণ হিসেবে অর্জুন জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বিজেপি কার্যকর্তারা । তাদের বাঁচাতেই কিছুদিনের জন্য তিনি বিজেপি থেকে সরে গিয়েছিলেন । কিন্তু সন্দেশখালীর ঘটনা দেখার পর তিনি আর চুপচাপ বসে থাকতে পারেননি এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফের বিজেপিতে ফিরে আসার জন্য আবেদন করেন । অর্জুন সিং বলেন,’একা সন্দেশখালি নয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সীমান্তবর্তী এলাকাই আজ সন্দেশখালি হয়ে গেছে ।’
অন্যদিকে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন,’প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি ।’ তিনি সন্দেশখালির ইস্যুতে বলেন, ‘আমরা মা দুর্গা, মা কালী, মা সরস্বতীর পূজা করি। কিন্তু সন্দেশখালীর মহিলাদের সাথে যা হয়েছে তার নিন্দা করার কোন ভাষা নেই । সন্দেশখালি শুধু বাংলার নয়,গোটা দেশের বিষয় । একমাত্র বিজেপিই নির্যাতিতা মহিলাদের পাশে প্রথম দাঁড়য়েছিল, আর কোন দল যায়নি ।’ তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রসঙ্গে বলেন,’একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় মমতা ব্যানার্জির প্রতি বাংলার মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল । আমি ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বামপন্থী দলকে দেখেছি, কিন্তু মমতা ব্যানার্জি লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৫০০ -১০০০ টাকা করে দিলেও মহিলাদের কোন সম্মান দেওয়া হয় না ।’
দিব্যেন্দু অধিকারী রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভুয়সী প্রশংসা করেন ।।