এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১২ ডিসেম্বর : ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ৬ দেশ, আর এরপরের বার অর্থাৎ, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে সৌদি আরব। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) একসঙ্গে দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০৩০ বিশ্বকাপই প্রথম টুর্নামেন্ট, যেটি তিনটি ভিন্ন মহাদেশ ও ছয়টি দেশে হবে। তবে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে হবে তিনটি বিশেষ ম্যাচ। মূল আয়োজক না হয়েও তিন লাতিন দেশে শুরুর ম্যাচগুলো দিয়ে টুর্নামেন্টটির পর্দা উঠবে।
২০৩০ বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে ওই বছরের ৮ জুন, ফাইনাল হবে ২১ জুলাই। ওইবারই প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করবে পর্তুগাল ও মরক্কো । স্পেনের এনিয়ে দ্বিতীয়, দেশটিতে প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে স্পেন-পর্তুগাল একসঙ্গে আয়োজন করে, পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ইউক্রেনও। কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির জায়গায় পরে যুক্ত হয় মরক্কো।
অন্যদিকে, এই তিন দেশের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় ২০২৩ সালে ইচ্ছাপোষণ করে লাতিন আমেরিকার চার দেশ আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোপের দুই দেশ ও আফ্রিকার মরক্কোই পেল আয়োজক সত্ত্ব। আর বিশেষ ম্যাচের দায়িত্ব পেল তিন লাতিন দেশ।
২০৩০ বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফার সিদ্ধান্ত-স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোর প্রস্তাবই বেশি উপযুক্ত। আবার একইসঙ্গে ২০৩০ সালে যেহেতু বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্ণ হতে চলেছে, সেটিরও একটা ছাপ রাখা দরকার। ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল উরুগুয়ে। বিশ্বকাপের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশটিতে ম্যাচ রাখার পরিকল্পনা নেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাটি। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করা আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়েকেও।
সব মিলিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপের জন্য আয়োজকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬-এ। যদিও বিশেষ তিন ম্যাচ বাদ দিলে আয়োজক হিসেবে থাকে তিনটি দেশ। ফিফা কংগ্রেসে বুধবার রাতে এটাই চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে। ১৩টি দেশের অংশগ্রহণে ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। ২০৩০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচও হবে সেখানে।
২০২৬ বিশ্বকাপের মতোই ২০৩০ আসরও হবে ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণে। যেখানে সর্বোচ্চ ১৬টি দেশ সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে ইউরোপ (উয়েফা) থেকে। এ ছাড়া এশিয়া থেকে ৮, আফ্রিকা থেকে ৯, কনকাকাফ (উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল) থেকে ৬, দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল) থেকে ৬, ওশেনিয়া মহাদেশের ১ এবং দুটি দেশ আসবে প্লে-অফ খেলে। ৬ দেশের অংশগ্রহণে প্লে-অফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।।