এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফরিদাবাদ,১৬ নভেম্বর : “হোয়াইট কলার টেররিজম”-এর উন্মোচনের পর থেকেই হরিয়ানার ফরিদাবাদের “আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়” গোয়েন্দাদের র্যাডারে চলে এসেছে । কারন, মানুষকে সুস্থ করে তোলার পরিবর্তে ওই মেডিকেল কলেজে দেওয়া হচ্ছিল নাশকতার প্রশিক্ষণ, এমনটাই জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা৷ ইতিমধ্যেই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও মেডিকেল পড়ুয়া গ্রেপ্তার হয়েছে৷ এবারে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে এখনো ১৫ জন চিকিৎসক পলাতক ৷
এদিকে, সন্দেহ করা হচ্ছে যে দিল্লির লাল কেল্লা বিস্ফোরণে অত্যন্ত বিপজ্জনক রাসায়নিক ট্রায়াসিটোন ট্রাইপেরক্সাইড (TATP) ব্যবহার করা হয়েছিল। IED তৈরিতে ট্রায়াসিটোন ট্রাই পারক্সাইড ব্যবহার করা হয়েছিল। তাপ বা ঘর্ষণের কারণে TATP বিস্ফোরিত হয়। এই রাসায়নিকটি “শয়তানের মা” হিসাবে পরিচিত। ডঃ উমর নবী পাকিস্তান থেকে দিল্লি বিস্ফোরণের নির্দেশনা পেয়েছিল। টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে বোমা তৈরির পদ্ধতিগুলি ব্যাখ্যা করা হয়েছিল । আরও জানা গেছে যে বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ডঃ উমর বাড়িতে একটি ল্যাব স্থাপন করেছিলেন।
দিল্লির লাল কেল্লা বিস্ফোরণ মামলায় আরও একজন ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ছাত্র নিসার আলম ওরফে জানিসুর আলমকে পপশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিসার আলম লুধিয়ানার বাসিন্দা। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে থাকা ডাঃ উমর নবী এবং অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীদের সাথে নিসারের যোগসূত্র থাকার তথ্য পাওয়ার পর এনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে । পুলিশ জানিয়েছে, নিসার তার পরিবারের সাথে একটি বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় পালানোর চেষ্টা করেছিল ।
গতকাল আল ফালাহ থেকে নবী ওমরের সাথে সম্পর্কিত দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন চিকিৎসক এখনো পলাতক। তদন্ত দল এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরেও ব্যাপক পুলিশি তল্লাশি অভিযান চলছে। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে বিস্ফোরণের পর বন্ধ থাকা লাল কেল্লা এলাকা আজ থেকে জনসাধারণের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।।
Author : Eidin.

