এইদিন ওয়েবডেস্ক,হিসার(হরিয়ানা),০৯ মে : হরিয়ানার হিসার জেলার রাখিগড়িতে ৫০০০ বছরের প্রাচীন গহনা কারখানার সন্ধান পেল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (ASI) । রাখিগড়িকে হরপ্পান সভ্যতার বৃহত্তম বসতিগুলির মধ্যে একটি মনে করা হয় । এখানে মোট ৭ টি ঢিবি আছে । বর্তমানে ৩ টিতে খননকার্য চলছে । গত ৩২ বছর ধরে চলছে পুরাতাত্ত্বিক খনন কাজ । উদ্ধার হয়েছে প্রচুর প্রাচীন নির্দশন । এত প্রাচীন কালেও আধুনিক পরিকল্পিত বাড়ি ও রান্নাঘর ও রাস্তা দেখে বিস্মিত খোদ এএসআইয়ের পুরাতাত্ত্বিকরা ।
বিশেষ করে রাখিগড়ির একটি প্রাচীন গহনা কারখানা পুরাতাত্ত্বিকদের সব থেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । সেখান থেকে লুকিয়ে রাখা তামা ও সোনার তৈরি বহু প্রাচীন অলঙ্কার উদ্ধার হয়েছে । পুরাতাত্ত্বিকদের অনুমান প্রাচীন কালে এই জায়গাটি বানিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র ছিল । এছাড়া এখানে হাজার হাজার মাটির পাত্র,সিলমোহর এবং শিশুদের খেলনার পাশাপাশি এমন একটি রথ আবিষ্কৃত হয়েছিল যাতে উন্নত কৌশল ব্যাবহার করা হয়েছে ।
পাশাপাশি ৭০০০ বছরের প্রাচীন এমন একটি বাড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে যাতে উন্নত নিকাশি ব্যাবস্থা লক্ষ্য করেছে পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা ।
জনবসতি এলাকায় মূল সড়কের সঙ্গে অলিগলি মিশতে দেখা গেছে । রাস্তাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে কাঁচা মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা ইট ব্যাবহার করা হয়েছে । অনেক সীলমোহর, মৃৎপাত্র, হাতির দাঁত, সোনা এবং মানুষের হাড়ের জিনিসও এখানে পাওয়া গেছে । এর আগে এই জায়গা থেকে একটি কঙ্কাল সহ একটি তামার আয়না পাওয়া গিয়েছিল । যেটি ৫০০০ বছরের প্রাচীন বলে মনে করা হচ্ছে । এছাড়া পোড়ামাটির ও ইস্পাতের তৈরি কুকুর, ষাঁড় ও অন্যান্য প্রাণীর মূর্তি, মালা ও পাথরের পুঁতিও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেছে।
এএসআইয়ের এডিজি ডাঃ সঞ্জয় মঞ্জুল বলেন, ‘এএসআই বিগত দুই দশকে সুনাউলি, হস্তিনাপুর এবং রাখিগড়িতে অনেক কাজ করেছে । উদ্ধার হওয়া প্রত্নতাত্মিক নিদর্শন থেকে এটা উপসংহারে আসা যেতে পারে যে রাখীগড়ির বাসিন্দারাই ছিলেন হস্তিনাপুরের পূর্বপুরুষ ।’।