এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৮ অক্টোবর : দিল্লির লক্ষ্মী বাই কলেজের কাছে এক ছাত্রীকে অ্যাসিড হামলার ঘটনার নেপথ্যে আসল রহস্য সামনে এনেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গেছে যে মেয়েটির বাবা আকিল খান জিতেন্দ্রকে ফাঁদে ফেলার জন্য এই ভুয়ো হামলার পরিকল্পনা করেছিল । অ্যাসিড নয়, টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করেছিল আকিলের মেয়ে এবং সেই ক্লিনার নিজের শরীরে ছিটিয়ে হামলার নাটক করে । আসলে, আকিল খান এর ঠিক কয়েক ঘন্টা আগে জিতেন্দ্রের স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছিল এবং তার অশ্লীল ছবি তুলেছিল । জিতেন্দ্রের স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। আকিল খান পরে চম্পট দেয় । দিল্লি পুলিশ তাকে সঙ্গম বিহার থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের মতে, পুরো ঘটনাটি “প্রতিশোধ” নেওয়ার জন্য করা হয়েছিল।
পুলিশ যখন অ্যাসিড হামলার তদন্ত শুরু করে, তখন তারা দেখতে পায় যে কথিত প্রধান অভিযুক্ত জিতেন্দ্র ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। সিসিটিভি ফুটেজও এটি নিশ্চিত করে। পুলিশ জিতেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি। ছাত্রীটি অভিযোগ করেছে যে জিতেন্দ্র, আরমান এবং ঈশান কলেজে যাওয়ার সময় তার উপর অ্যাসিড হামলা করে এবং তারপর পালিয়ে যায়। সে আরও বলেছে যে জিতেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে তাকে হয়রানি করে আসছিল এবং তাকে অনুসরণ করছিল। ছাত্রীর ভাই জিতেন্দ্রের সাথে বেশ কয়েকবার ঝগড়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল।
ছাত্রীটি জানিয়েছে যে তিন অভিযুক্ত বাইকে করে পালিয়ে গেছে। তবে, বাইকটি করোলবাগে পাওয়া গেছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে তিনজনের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে অ্যাসিড এবং তার বোতল পাওয়া যায়নি। পুলিশের মতে, ছাত্রীটি তার ভাইয়ের সাথে অশোক বিহারে গিয়েছিল। এরপর সে ই-রিকশায় কলেজে যায় এবং গেটের প্রায় ৩০০ মিটার আগে নেমে যায়। তার বহন করা ব্যাগটিতে অ্যাসিড আক্রমণের কোনও চিহ্ন ছিল না। ভেতরে একটি কুর্তি পাওয়া গেছে। পুলিশ ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করেছে।
ঘটনার দিন, ঈশান এবং আরমান দিল্লিতে ছিলেন না। তারা তাদের মা শবনমের সাথে আগ্রায় তাদের বাড়িতে ছিলেন। আসলে, ২০১৮ সাল থেকে মঙ্গোলপুরিতে একটি সম্পত্তি নিয়ে আকিল খানের সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। তাই, ছাত্রটি তাদের ফাঁদে ফেলার জন্য তাদের নাম বলেছিল।।

