এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,২১ এপ্রিল : গতকাল রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার সমুদ্র সৈকতে কাজ করার সময় কয়েকজন মিস্ত্রি রঙ করা জগন্নাথ দেবের একটা কাঠের মূর্তি দেখতে পায় । দিঘার ভোগীব্রহ্মপুর গ্রামের বাসিন্দা অবনী সামন্ত তাঁর বাড়িতে মূর্তিটি নিয়ে গিয়ে পুজোপাঠ শুরু করেন । আর এই ভোগীব্রহ্মপুরেই রাজ্য সরকার জগন্নাথ দেব কালচারাল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে । পুরীর জগন্নাথ ধামের আদলে একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে । আগামী ২৯ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । তার আগে উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হয় যে প্রভু জগন্নাথদেব স্বয়ং প্রকট হয়েছেন । বিশেষ করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে এই গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি শাসকদল অনুগামী কিছু সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোন খোঁজার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে । কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা জানা নামে এক গৃহবধূ খোলসা করেছেন যে ওই মূর্তিটি একবছর আগেই পাড়ার ছোটছোট ছেলেরা সমুদ্র থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আসে । তাদের পারিবারিক মন্দিরে পূজোও করা হচ্ছিল । কিন্তু মুর্তির বামহাত খন্ডিত হওয়ায় এবং বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় আচার্যের পরামর্শে রবিবার সেটি ফের সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয় । ‘জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব’ নিয়ে যে প্রচার হচ্ছে সেটা সর্বৈব মিথ্যা বলে জানান তিনি ।
ওই বধূর বক্তব্যের ভিডিও এক্স-এ সংযুক্ত করে রাজ্য বিজেপির যুবনেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন,’গতকাল বিকেলে দীঘার মাইতিঘাটের কাছে উদ্ধার হওয়া জগন্নাথ দেবের মূর্তির আসল রহস্য……এই ঠাকুরটি এক বছর ধরে পূজিত হচ্ছিলেন দীঘা থানার খালাল গোবরা গ্রামের বাসিন্দা, কল্পনা জানার বাড়িতে। সেই ঠাকুরের হাত এবং মাথায় কিছুটা ক্ষত হয়ে যাওয়ায় তারা পন্ডিতের কাছে গিয়ে জানতে পারেন দূর্গা মন্দিরের সঙ্গে জগন্নাথ দেবের পূজা করা সম্ভব নয় সেই সঙ্গে মাথা এবং হাতে ফাটল ধরায় সেই ঠাকুরকে পুজো করা সম্ভব নয় তাই তারা দুপুর দুটোর নাগাদ দীঘা সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন আর সেই ঠাকুর উদ্ধারকে ঘিরে রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া।’।
Appearance of Lord Jagannath: Local housewife exposes ‘false propaganda’