এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট,৩১ ডিসেম্বর : গরুপাচার মামলায় জেল থেকে জামিন পেয়ে প্রথমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামের দেবী যোগাদ্যা মন্দিরে মেয়ের সঙ্গে পুজো দিতে এলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । উল্লেখ্য, দেবী সতীর ৫১ পীঠস্থানের মধ্যে অন্যতম মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম । এই তীর্থের বৈশিষ্ট্য হল মন্দিরের অদূরে ক্ষীরদিঘি নামে একটি জলাশয়ের জলের তলায় দেবী যোগাদ্যার প্রস্তরমূর্তি সারাবছর রেখে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বছরের বিভিন্ন মাস মিলে ৭ বার দেবীকে জল থেকে তুলে বিশেষভাবে পুজো করা হয়। বছরের যে নির্দিষ্ট ৭ দিন দেবী যোগাদ্যার মূর্তি তুলে পুজো করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল ১৫ পৌষ । আজ মঙ্গলবার ছিল সেই বিশেষ দিন । এই বিশেষ দিনের পূজোকে এলাকার মানুষ ‘লগন’ এর পুজো বলেন । সেই উপলক্ষে এদিন দেবীর পূজো দিতে আসেন অনুব্রত । দেবীর ‘লগন’ পুজো উপলক্ষে এদিন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী ভক্তদের জন্য ভোগের খরচ খরচা দেন । প্রায় ১৬ হাজার ভক্ত ও পুন্যার্থীর জন্য এদিন ভোগ গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ মূলত মঙ্গলকোটের বিধায়কের আমন্ত্রণেই অনুব্রত মণ্ডলের এই সতীপীঠে আসা ।
তবে পূণ্য করতে এসেও অনুব্রত মণ্ডল শুনিয়ে দেন, ‘মঙ্গলকোটের মাটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তাই মঙ্গলকোট নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। আগে যেভাবে দলের কর্মীদের অভিভাবকের মতন ছিলাম। তেমনই থাকব।’ প্রসঙ্গত,বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকা। আর এই তিন বিধানসভা এলাকার দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলে এসেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু গরুপাচার মামলায় তিনি জেলে যাওয়ার পর দায়িত্ব বর্তায় বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের উপর । তারপর প্রায় দুবছর পর এদিন মঙ্গলকোটে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে ‘চড়াম চড়াম ঢাক’ বা ‘গুড় বাতাসা’র মত বিতর্কিত কোনো মন্তব্যে শোনা যায়নি তার মুখ থেকে ।।