সন্ত্রাসবাদের প্রতি নরম মনোভাব, মার্কিন বিদেশ বিষয়ক কমিটি থেকে বহিষ্কৃত ভারত বিরোধী মুসলিম কংগ্রেস ওম্যান ইলহান ওমর

এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,০৩ ফেব্রুয়ারী : সন্ত্রাসবাদের প্রতি নরম মনোভাব নেওয়া, আমেরিকা ও ইসরায়েলকে হামাস এবং তালিবানের সাথে তুলনা করা কাল হল বিতর্কিত মার্কিন ডেমোক্র্যাট নেতা তথা ভারত বিরোধী মুসলিম কংগ্রেস ওম্যান ইলহান ওমরের (Ilhan Omar) জন্য । অতীতে তার একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ) তাকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের প্রভাবশালী বিদেশ বিষয়ক কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । রিপাবলিকান পার্টির নবনির্বাচিত মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির (Kevin McCarthy) নেতৃত্বে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
রিপাবলিকানদের এখন কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং ওমরিকে ২১৮-২১১ ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় । কেভিন ম্যাকার্থি টুইট করেছেন,’ইলহান ওমরের অতীতের বিবৃতিগুলি স্পষ্ট করে দেয় যে তিনি হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে মার্কিন প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অযোগ্য । তিনি বারবার অ্যান্টি-সেমিটিক ট্রপ ব্যবহার করেছেন । তিনি ৯/১১ হামলাকে ‘কিছু লোক কিছু করেছে’ বলে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন । তিনি আমেরিকা ও ইসরায়েলকে হামাস এবং তালিবানের সাথে তুলনা করেছেন ।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা থেকে ডেমোক্র্যাটের নির্বাচিত প্রতিনিধি ইলহান ওমর । নব্বইয়ের দশকে তিনি সোমালি শরণার্থী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন । পরে ২০১৮ সালে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হন ওমর । তিনি গত কয়েক বছরে তার ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য বিতর্কে রয়েছেন । তিনি সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের সমর্থনে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন । গত বছর এপ্রিলে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সফর করেন এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই- ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের সাথে দেখা করেন। তার এই সফরকে পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন হিসাবে মনে করেছিল নয়াদিল্লি ৷ ভারত ওমরের এই সফরের তীব্র প্রতিবাদ করলে এটিকে “বেসরকারী এবং ব্যক্তিগত” বলে অভিহিত করে দায় এড়িয়ে যায় বাইডেন প্রশাসন ৷
শুধু তাইই নয়,গত বছর জুলাইয়ে ভারতের মানবাধিকার রেকর্ডের নিন্দা জানিয়ে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ভারত বিরোধী প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন ইলহান ওমর । ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসাবে মনোনীত করার জন্য তিনি মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি পর্যন্ত করেছিলেন । যদিও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান । এহেন কট্টর ভারত বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী এক মুসলিম নেত্রীর বিরুদ্ধে মার্কিন হাউস কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় খুশি ভারত ৷।