এইদিন ওয়েবডেস্ক,লাহোর,২১ মে : ফের অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে খতম হল পাকিস্তানের একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী । এবারে লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সহ-প্রতিষ্ঠাতা সন্ত্রাসী মৌলানা আমির হামজাকে (Maulana Amir Hamza) লাহোরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে নিকেশ করেছে বলে জানা গেছে । বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সাইদের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল আমির হামজা । সে নিজের বাড়িতেই রহস্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হয় । তাকে লাহোরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায় । ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল মৌলানা আমির হামজা।
আক্রমণকারীদের পরিচয় এখনও অস্পষ্ট, যা উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তার মৃত্যু লস্কর-ই-তৈয়বার কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে এবং ওই পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির স্থিতিশীলতা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সীমিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । এদিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী নিকেশ হওয়ায় পাকিস্তানের প্রতিপালিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ।
এর আগে রবিবার(১৮ মে ২০২৫) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলিতে গুলি করে হত্যা করা হয় কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar- e-Taiba) কমান্ডার আবু সাইফুল্লাহ খালিদ (Abu Saifullah Nizamani)কে । নিজামনিকে তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিকটবর্তী একটি মোড়ে অজ্ঞাত সশস্ত্র হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করে । গুলি সরাসরি তার বাম দিকের বুকে এসে লাগে এবং ওই সন্ত্রাসী রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ার পর ছটফট করতে করতে মারা যায় । কাশ্মীরের পহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের নরসংহারের ঘটনায় অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল আবু সাইফুল্লাহ খালিদ । এছাড়া, ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে (IISC) সন্ত্রাসী হামলা,২০০৬ নাগপুরে আরএসএস সদর দপ্তরে আক্রমণ এবং ২০০৮ সালের রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে আক্রমণের মাস্টারমাইন্ড ছিল ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী।।

