এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ জুলাই : আরজি করের অভয়ার ধর্ষণ-খুন মামলায় প্রমান লোপাটের মত গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ । এবারে রাজ্য পুলিশের আরও এক কীর্তি প্রকাশ্যে সামনে এসেছে । তোলা না পেয়ে একসাথে ৩৮ লরির টায়ার পাংচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতার নিউ আলিপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে । এমনকি ‘তোলাবাজ’ পুলিশের দল একটি লরির উইন্ডস্ক্রিনও ভেঙে দিয়েছে বলে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ক্ষিপ্ত লরি মালিক ও চালকরা থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতেই অবশেষে ৪ জন সাব ইনস্পেকটর(৪ এসআই)কে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।
নিউ আলিপুর থানার পিছনেই রয়েছে রেল স্টেশন। ঠিক তার সংলগ্ন রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে অসংখ্য পণ্যবাহী লরির সারি। দিন থেকে রাত অব্দি এই রাস্তাই কার্যত লরির অলিখিত ‘পার্কিং লট’ হয়ে গেছে । কাছেই একটা বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে । দাঁড়িয়ে থাকা লরির কারনে অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয় বলে অভিযোগ । পুলিশের দাবি, মাসখানেক আগে দু’টি লরির মাঝে পড়ে পিষে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পথচারীর । কিন্তু রাতেও রাস্তায় পার্কিং কেন? তাই দাও তোলা। আর চালকরা তোলা দিতে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানালে পুলিশ একের পর এক ৩৮টি লরির টায়ার পুলিস পাংচার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ । একজন লরি চালকের অভিযোগ, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার রাতেও দুই সাব ইনসপেক্টর তার কাছে ১০০ টাকা দাবি করে । কিন্তু কাছে টাকা না থাকায় তিনি দিতে পারেননি । আর তার সেই অপরাধের জন্য পুলিশ তার লরির উইন্ডস্ক্রিন ও রিয়ার ভিউ মিরর ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৮টা থেকে নিউ আলিপুর থানার সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ । যার জেরে কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যায় নিউ আলিপুর মোড় । এরপরে টনক নড়ে লালবাজারের । জানা গেছে,কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) প্রিয়ব্রত রায় গোটা ঘটনার দ্রুত বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন৷ ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাতে নিউ আলিপুর থানার চারজন এসআইকে লরি ভাঙচুরের সময় উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে । শেষ পর্যন্ত তোলাবাজি, লরির কাচ ভাঙচুর ও টায়ার পাংচার করে দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় নিউ আলিপুর থানার চার সাব ইনসপেক্টরকে।।

