এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফাঁসিদেওয়া,২৪ আগস্ট : বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য পুলিশকে আখ্যা দিয়েছেন “চটি চাটা” ও “মমতা পুলিশ” বলে । তিনি মূলত শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে পুলিশের এই নামকরণ করেছেন । কিন্তু জন্য যত দিন যাচ্ছে রাজ্য পুলিশের নতুন নতুন কীর্তি সামনে আসছে ৷ এবারে দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট ফাঁড়ির এক সাব–ইনস্পেকটরের (এএসআই) বিরুদ্ধে একটা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন বাড়ি থেকে পালানো এক ১৬ বছরের কিশোরীর বাবা । উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর অনলাইন এডিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মেয়েকে বাড়ি ফেরাতে চটহাট ফাঁড়ির মহম্মদ নইমুদ্দিন নামে এক এএসআই তার কাছে গাড়ির তেল খরচের টাকা দাবি করেছেন ।
শনিবার ওই নাবালিকার বাবা এসডিপিও (নকশালবাড়ি)–র দপ্তরে লিখিতভাবে কিশোরীর বাবা বাবা মোহাম্মদ জাফর আলী অভিযোগপত্রে জানান যে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বললে ওই এএসআই তাকে প্রশ্ন করেন, ‘টাকা না থাকলে কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন?’ তিনি পুলিশের এহেন আচরণে মর্মাহত বলেও এসডিপিও’কে জানিয়েছেন । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,২০ অগাস্ট স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ১৫ বছর ৮ মাস বয়সী ওই কিশোরী । অনেক খোঁজাখুঁজির পরে কিশোরীর পরিবার জানতে পারে যে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ রবিউল নামে এক বিবাহিত ব্যক্তি । ইসলামপুরের ডাহাপাড়া এলাকায় প্রথমে ওই কিশোরীকে এনে রাখা হয় । এখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে । এরপর ২২ আগস্ট চটহাট ফাঁড়ির পুলিশের দ্বারস্থ হন কিশোরীর বাবা । তিনি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন । সেই সময় এএসআই মহম্মদ নইমুদ্দিন তার গাড়ির তেল খরচ বাবদ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ।
যদিও কার্সিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে । তিনি বলেছেন, ‘কিশোরীর বাবা পুরোপুরি ভিত্তিহীন দাবি করছেন ।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান যে কিশোরীকে অপহরণ করা হয়নি । একজন বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে সে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে । ইলসামপুরে তারা যেখানে ছিল সেখানে পুলিশ অভিযান চালানোর আগেই তারা পালিয়ে যায় । বর্তমানে তারা দিল্লিতে রয়েছে এবং রবিবারের মধ্যে কিশোরীকে উদ্ধার করে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।।

