জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মেমারি(পূর্ব বর্ধমান),১৩ সেপ্টেম্বর :পদ বা ক্ষমতা পাওয়ার পর এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা যখন দলীয় কর্মী-সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়, চেষ্টা করলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়না সেই পরিস্থিতিতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী।
মানুষের কাছে, মানুষের পাশে থাকার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী ও সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মেমারির দলীয় কার্যালয়ে রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে দুটি মোবাইল নাম্বার সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেন – একটি নিজের ও অপরটি মেমারি-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ হাঁসদার। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ করেন প্রতিটি পঞ্চায়েতের কাজকর্ম, উন্নয়ন, সমস্যা এবং জনপ্রতিনিধিদের আচা-আচরণ সম্পর্কে জনগণের কোন পরামর্শ অথবা অভিযোগ থাকলে সরাসরি ফোন বা মেসেজ করে যেন তাদের জানান হয়। এমনকি তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছেও একই অনুরোধ রাখেন।
তিনি বলেন,মানুষের ভোটে জিতে আমরা জনপ্রতিনিধি হয়েছি। মানুষের জন্য পঞ্চায়েত গঠন করা হয়েছে। তাই মানুষ যাতে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি জানাতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে তিনি সকল সদস্যদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলি চিহ্নিত করার এবং গুরুত্ব অনুযায়ী সেগুলো সমাধান করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তার আশা সবার মিলিত প্রচেষ্টায় এরফলে মেমারির মানুষ স্বচ্ছ পরিষেবা পাবে।
প্রসঙ্গত,১০টি অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে মেমারি-১ নম্বর ব্লক। পদ পাওয়ার পর থেকেই নিত্যানন্দ বাবু নবাগত ও অভিজ্ঞ তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে ‘টিম’ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারের কাজ করেন। প্রধান, উপ-প্রধান সহ বিভিন্ন সমিতির সদস্য থেকে শুরু করে মেমারি-১ পঞ্চায়তে সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি নবীনদের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞদের গুরুত্ব দেন। তিনি নিজে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের স্থায়ী সদস্যও হয়েছেন।
তার এই উদ্যোগে দলমত নির্বিশেষে এলাকার বাসিন্দারা খুব খুশি। তাদের বক্তব্য হলো – অভিযোগ জানানোর পর ফলাফল যাইহোক অন্তত এলাকার সমস্যা নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। এটাই বা কম কিসের! একইসঙ্গে আশঙ্কাও আছে। অনেকের বক্তব্য -অভিযোগ জানালে পরবর্তীকালে তাদের উপর আক্রমণ নেমে আসবে না তো! এখন হেল্পলাইন নাম্বারে মানুষ কেমন সাড়া দেয় এবং সমস্যার সমাধানে জনপ্রতিনিধিরা কতটা সক্রিয় হন- সময় সবকিছুর উত্তর দেবে।।