এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৫ জুলাই : পরিবারকে অন্ধকারে রেখে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানি প্রেমিক নাসরুল্লাহের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন রাজস্থানের ভিওয়াদির বাসিন্দা দুই সন্তানের জননী ৩৪ বর্ষীয়া খ্রিস্টান মহিলা অঞ্জু । স্বামী অরবিন্দকে ফোন করে দু’দিনের মধ্যে ভারতে ফিরে আসার কথাও বলেছিলেন তিনি । এমনকি পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারের সঙ্গে তুলনা টানার ঘোর প্রতিবাদ করেন তিনি । কিন্তু পাকিস্তানি মিডিয়া জিও টিভি জানিয়েছে যে পাকিস্তানের দিরের বাসিন্দা নাসরুল্লাহের সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছেন ওই ভারতীয় মহিলা । স্বধর্ম ত্যাগ করে অঞ্জু মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম ফাতেমা বিবি রেখেছেন । প্রসঙ্গত,ইতিপূর্বে অঞ্জু ও নাসরুল্লাহ দু’জনেই বিয়ের কথা অস্বীকার করেছিলেন । কিন্তু আজ মঙ্গলবার ওই জুড়ির আদালতে যাওয়া ও বিয়ের আগে হাত ধরাধরি করে রোম্যান্টিক রিল সামনে আসায় বিয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে । যদিও এখনো পর্যন্ত কেউই এনিয়ে মুখ খোলেননি ।
জানা গেছে,রাজস্থানের ভিওয়াদির বাসিন্দা অঞ্জুর বাড়িতে রয়েছে স্বামী,বছর ১৫-এর এক মেয়ে ও এক ছেলে । গত ২১ জুলাই জয়পুরে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ওই মহিলা । কিন্তু তিনি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় হরিণ বালায় প্রেমিক নাসরুল্লাহর কাছে পৌঁছে যান । তারপর নাসরুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে ওঠেন অঞ্জু । এদিকে দু’দেশের মিডিয়ায় অঞ্জু ও নাসরুল্লাহের বিয়ে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায় । যদিও দু’জনেই সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন । অঞ্জু তার স্বামী অরবিন্দকে ফোন করে জানান ২-৩ দিনের মধ্যেই তিনি ভারতে ফিরবেন । অন্যদিকে নাসরুল্লাহ জানান,অঞ্জুকে তার পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে পৃথক ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সে খুব খুশিতেই আছে । কিন্তু এদিন দু’জনে পাকিস্তানের আদালতে গিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন এবং বিয়ের পর দুজনকেই পুলিশি নিরাপত্তায় আদালত থেকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন পাকিস্তানের মালাকান্দ বিভাগের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল নাসির মেহমুদ সাত্তির ।।