এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৭ জানুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-২ ব্লকের শাঁখাই এবং গঙ্গাটিকুরি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিডডে মিল নিয়ে অসন্তোষের জেরে কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল গ্রামবাসীরা ৷ রান্নার খারাপ মান, দুসপ্তাহ ধরে ডিম না দেওয়া এবং শাকসব্জি না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে । যদিও শাঁখাই গ্রামের ১৩৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গৌরি বর্মন বলেন, ‘ডিমের দাম বাবদ সরকারিভাবে আমাদের যে টাকা দেওয়া হয় তার থেকে ডিমের বাজার দাম অনেক বেশি । আমাদের ভাতাও খুব অল্প । এমতবস্থায় নিজেদের পারিশ্রমিক থেকে খরচ করে ডিম কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরে আনার জন্য আমরা একাধিকবার ডেপুটেশনও দিয়েছি ।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেতুগ্রামের সীতাহাটি গ্রামপঞ্চায়েতের শাঁখাই গ্রামের ১৩৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এবং গঙ্গাটিকুরি গ্রামের ৩০ নম্বর কেন্দ্রে বিগত প্রায় দু সপ্তাহ ধরে মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হচ্ছে না । পাশাপাশি তারা সবজির ব্যবহার না করা এবং রান্নার মাল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা । এই সমস্ত অভিযোগ তুলে আজ শনিবার দুই কেন্দ্রে প্রসূতি এবং অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ।
যদিও কেতুগ্রামে দুই কেন্দ্রে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্থানীয় সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের সুপারভাইজার কৃষ্ণা মণ্ডল বলেছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ডেপুটেশন দেওয়ার পর আলোচনা হয়েছিল । সেই সময় ডিম বন্ধ করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি । তারপরেও কেতুগ্রামের ওই দুই কেন্দ্রে কেন দু’সপ্তাহ ধরে ডিম দেয়া হলো না তা খোঁজ নিয়ে দেখব ।’
জানা গেছে,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিডডে মিলের জন্য সবজির ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র কেনাকাটা স্থানীয় বাজার থেকে করেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের কর্মীরা ৷ সরকারের কাছ থেকে প্রতিমাসে সবজির বিল পাওয়ার পর তারা ব্যবসায়ীদের টাকা মেটান । কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত সবজির বিল পাচ্ছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা । ফলে তাদের মিড ডে মিলের মেনুতে কার্ড কাটছাট করতে হচ্ছে । এ কারণে তাদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় মাঝে মধ্যে ।।