এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম,২৫ নভেম্বর : রোগযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন বৃদ্ধা, বাবা বকাঝকা করায় আত্মঘাতী যুবক, রবিবার রাতে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এই দুই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে । প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রাম থানার উদ্ধারণপুর গ্রামে এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি হল একই থানা এলাকার বিল্লেশ্বর গ্রামের । মৃতা বৃদ্ধের নাম নয়নতারা বিশ্বাস (৬১)৷ পাশাপাশি আত্মঘাতী যুবক হলেন রাহুল মাঝি (২১) । দুটি মৃতদেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,নয়নতারা বিশ্বাসের বাড়ি দাঁইহাটের বেরা গ্রামে । তার তিন মেয়ে ৷ তিনজনেই বিবাহিতা । প্রায় দু’দশক আগে নয়নতারা দেবীর স্বামী মারা যান । এক ছেলে সঞ্জীব গাড়িচালকের কাজ করতেন । কিন্তু বছর ৮ আগে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। সেই থেকে তিন মেয়ের বাড়িতে পালা করে থাকতেন নয়নতারাদেবী । মাস তিনেক আগে মেজ মেয়ে আশা সরকারের বাড়ি উদ্ধারণপুরে গিয়েছিলেন । নিরুপায় হয়ে মেয়েদের বাড়িতে থাকতে বাধ্য হওয়ায় এবং বিভিন্ন রোগব্যাধির যন্ত্রণার কারনে চরম হতাশায় ভুগছিলেন নয়নতারা দেবী ৷ মেয়ের বাড়ির যে ঘরে তিনি ঘুমতেন সেই ঘর থেকেই রবিবার রাতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।
দ্বিতীয় ঘটনায় জানা গেছে,কেতুগ্রামের বিল্লেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় জনমজুর বুদ্ধদেব মাঝি ও পুতুলদেবীর একমাত্র পুত্র রাহুল মাঝি ৷ রাহুলও জনমজুরের কাজ করতেন । রবিবার রাতে গ্রাম্য পুজো উপলক্ষ্যে মাইক বাজিয়ে নাচানাচি করছিলেন পাড়ার বেশকিছু যুবক । সেই সময় কয়েকজনের সঙ্গে তার বচসা ও হাতাহাতি হয় । বুদ্ধদেব মাঝি বিষয়টি জানতে পরে সেখানে গিয়ে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন । বাড়িতে আসার পর ছেলেকে বকাঝকাও করেন তিনি । এরপর রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়৷ অনেক রাত পর্যন্ত রাহুল বাড়ি ফিরছে না দেখে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে । কিন্তু তার কোনো সন্ধান পায়নি । আজ সোমবার সকালে পাড়ার এক যুবক নদীর ধারে গিয়ে একটি গাছে ঝুলন্তবস্থায় রাহুলকে দেখতে পান। তারপর দ্রুত দড়ি কেটে নিচে নামানোর পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।।