এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,২২ সেপ্টেম্বর : “মোহারেবেহ” বা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একজন তাজিক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের একটি আদালত । রহমাতুল্লাহ নওরোজফ নামে ওই ব্যক্তিকে গত আগস্টে একটি শিয়া ধর্মস্থানে বন্দুক হামলা চালানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ । দক্ষিণ ইরানের ফারস প্রদেশের রাজধানী শিরাজের শাহ চেরাঘের সমাধিতে চলতি বছরের ১৩ আগস্ট হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল । নয়জন হামলাকারী সমাধিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল । হামলায় দুইজন নিহত এবং সাতজন আহত হয় । পরে ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করে । প্রসঙ্গত,শাহ চেরাগ সমাধি হল অষ্টম শিয়া ইমাম – ইমাম রেজার ভাই আহমদের সমাধির বাড়ি এবং এটি দক্ষিণ ইরানের সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।
বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইট জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের রহমাতুল্লাহ নওরোজফকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং সে একজন আইএস সদস্য । তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটটি বলেছে, “মোহারেবেহ” বা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে । দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিপ্রায়ে সমাবেশে অংশ নেওয়া এবং ষড়যন্ত্র করার জন্য অন্য দুই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং দেশ থেকে নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
হামলার পরে প্রকাশিত ফুটেজ এবং ছবিগুলিতে দেখা যায় গুলির আঘাতে জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে এবং শাহ চেরাঘের সমাধি চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তের চিহ্ন । এই ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরাক, রাশিয়া এবং ফ্রান্স সহ বেশ কয়েকটি দেশ নিন্দা করে শোক প্রকাশ করেছিল ।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইরানের একটি মাজারে গণ গুলিতে ১৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছিল । ওই ঘটনায় ৮ জুলাই জনসমক্ষে দুজনকে ফাঁসি দেয় ইরান । লন্ডন- ভিত্তিক অধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে ইরান চীন ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি লোককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং গত বছর কমপক্ষে ৫৮২ জনকে ফাঁসি দিয়েছে, যা ২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ সংখ্যা ।।