এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ নভেম্বর : উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিক্রি করে পাঁচ তারকা হোটেল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুললেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক আনন্দ বর্মন । শুক্রবার বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে বিধায়ক আনন্দ বর্মন এবং দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতি তথা বিধায়ক ডঃ শঙ্কর ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন,’উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জমি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা তৃণমূল নেতা
ওম প্রকাশ মিশ্র । অকশানের তারিখ আজ শুক্রবার । ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে ।’
এরপর উত্তরবঙ্গের বিজেপির দুই বিধায়ককে উপাচার্যের নিন্দায় সরব হতে শোনা যায় । বিজেপি বিধায়ক আনন্দ বর্মন বলেন,’যিনি উপাচার্য হয়েছেন, তিনি শাসক দলের বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন । তিনি কয়েকদিন আগে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একটি গোপন মিটিং করেছিলেন । তার একটাই এজেন্ডা যেনতেন প্রকারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ বিঘা জমি বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছেন । পরবর্তী কালে পাচ তারকা হোটেল করার জল্পনা চলছে । জাতীয় সড়কের পাশে ওই জমির দাম প্রায় ১০০ কোটি টাকা ।’ তিনি আরও বলেন,’প্রায় ৭০ বছর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে । জমি রাজ্য সরকার দেয়নি । সেখানকার স্থানীয় রাজবংশী জমিদাররা জমি দিয়েছিলেন । কেন ওই জমি বেসরকারির হাতে যাবে ?’
এই বিষয়ে ডঃ শঙ্কর ঘোষ বলেন,’আমি প্রাক্তনী হিসাবে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে এনিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম । জানি না উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রীকে ভূল পথে চালিত করা হয়েছে কিনা । আর তিনি যদি জেনে বুঝে তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে তা উত্তরবঙ্গের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক৷ আমি নির্দিষ্ট ভাবে প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে ট্যুরিজম ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে কিনা । উত্তরে বলেছিলেন ট্যুরিজম বিভাগকে এই জমি হস্তান্তর করা হয়েছে । ৯৬ শতাংশ প্রশাসনিক ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেছে । ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । কিন্তু প্রশাসনিক ভবন যে কোথায় হয়েছে আমরা খুঁজে পাইনি । তিনি যে তথ্য পেশ করেছেন তা বাস্তবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় ।’
পাশাপাশি তিনি বলেছেন,’আমাদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয় নিজে কোনো ইন্সটিটিউট করে তাহলে অসুবিধা কোথায় ? এখানে অন্য কোনো দপ্তরকে কেন জমি দেওয়া হচ্ছে ?’ তাঁর অভিযোগ,’উপাচার্য শিলিগুড়ি বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন । পরাজিত হয়ে পরবর্তী কালে উপাচার্য হয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস করেছেন । উনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে বিজেপি ও উত্তরবঙ্গের মানুষ কখনই হতে দেবে না । আমরা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি হস্তান্তরের তীব্র বিরোধী ।’।