এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৮ ফেব্রুয়ারী : ভারতীয় সেনার অবস্থান ও সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে খুবই উদগ্রীব দুই শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্থান ও চীন । সেই কারনে দুই দেশ মিলে ভারতীয় সেনা সম্পর্কীয় সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করতে কাজে লাগাচ্ছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে । ভারতীয় সৈন্যদের হনি ট্রাপের ফাঁদে ফেলে বা আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করছে আইএসআই । এবার চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তর সীমান্তে নিযুক্ত এক সৈনিক (সিগন্যালম্যান) আইএসআই এজেন্টকে গোপন তথ্য দিতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল । ভারতীয় সেনার সামরিক ঘাঁটির গোপন তথ্য দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে মাত্র ১৫,০০০ টাকার রফা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী দল ।
। রিপোর্ট অনুযায়ী,দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে কর্মরত পাকিস্তানি নাগরিক আবিদ হুসেন ওরফে নায়েক আবিদ হল আইএসআই এক এজেন্ট । আবিদকে গোপন তথ্য দেওয়ার সময় নিরাপত্তা সংস্থার হাতে ধরা পড়ে ওই ভারতীয় সৈনিক । আইএসআই এজেন্টকে তথ্য শেয়ার করার জন্য ওই সৈনিককে ১৫,০০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আবিদ । এটা এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এল যখন ভারতের উত্তরের শত্রু চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করছে । এই পরিস্থিতিতে একজন ভারতীয় সেনা পাকিস্তানি গুপ্তচরদের কাছে তথ্য সরবরাহ করায় উদ্বেগে নয়াদিল্লি ।
সূত্রের খবর,ধৃত সৈন্য চীনা সীমান্তে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং পয়েন্টে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনা সীমান্তে নজরদারি রাডার এবং অন্যান্য অনুরূপ সরঞ্জামগুলির অবস্থান অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করছিল । শত্রুর গোয়েন্দা সংস্থাকে সৈনিকের দেওয়া তথ্যটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গুপ্তচরকে দেওয়া নথির তালিকায় তার নিজস্ব গঠনমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি তার সঙ্গে
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরীদের দায়িত্ব তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল । এছাড়া সৈন্যদের নিজস্ব যানবাহনের বিশদসহ কোভিড লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলের একটি তালিকাও আইএসআই এজেন্টকে দিয়েছিল ধৃত সেনা । প্রসঙ্গত,এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর জিরো টলারেন্স রয়েছে । সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে, আমরা দোষীকে এমন শাস্তি দেব যে সে কখনই ভুলবে না ।।