দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১৪ মে : জেসিবি মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালি তুলিয়েছিল বালিঘাটের ইজারাদার । ফলে নদীগর্ভে সৃষ্টি হয়েছিল গভীর গর্তের । শুক্রবার বিকেলে জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরার সময় এই রকম একটি খালের জলে পড়ে তলিয়ে যান এক প্রৌঢ় । শনিবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের মাঝিখাড়া গ্রামের কাছে অজয় নদে । নিহত প্রৌঢ়ের নাম শ্যামসুন্দর মেটে(৫২) । তাঁর বাড়ি মাঝিখাড়া গ্রামের মেটেপাড়ায় । এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইজারাদারেরা প্রতিনিয়ত বেআইনিভাবে মেশিনের সাহায্যে খাল কেটে বালি তুললেও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কোনো হেঁতকেত নেই । ফলে ওই সমস্ত মরনফাঁদে পড়ে প্রায়ই প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ । যদিও এই বিষয়ে মঙ্গলকোটের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রাহুল ঘোষের কাছ থেকে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি ।
মঙ্গলকোটের মাঝিখাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অজয় নদ । ঘটনাস্থলের পাশাপাশি রয়েছে দুটি বৈধ বালিঘাট । শুক্রবার বিকেলে জাল নিয়ে অজয়নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান শ্যামসুন্দর মেটে । স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে নদীর জলে তল্লাশি চালায় । কিন্তু তাঁর কোনো হদিশ পাওয়া যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । পুলিশ খবর দেয় বর্ধমানে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে । শেষে এদিন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা ওই প্রৌঢ়কে নদীতে কেটে রাখা খাল থেকে উদ্ধার করে । স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন মেটে,কালাচাঁদ দাসবৈরাগ্যরা বলেন, ‘নদীতে মেশিন দিয়ে বেআইনিভাবে বালি তোলা বন্ধ করা হলে ওই ব্যক্তির এই মর্মান্তিক মৃত্যু হত না । ওই সমস্ত মরনফাঁদে পড়ে আরও কত মানুষকে প্রাণ হারাতে হবে কে জানে ।’।