এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ জুন : কলকাতার কসবার আইন কলেজের ছাত্রীকে গনধর্ষণের ঘটনায় মনোজিৎ মিশ্র (৩১), জাইব আহমেদ (১৯) এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০) নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তিন অভিযুক্তের মধ্যে মূল অভিযুক্ত কে তা নিয়ে তোলপাড় চলছে৷ এক্ষেত্রে টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি মনোজিৎ মিশ্র ও জাইব আহমেদকে নিয়ে বেশি চর্চা চলছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় জাইব আহমেদের বিষয়ে পোস্ট করায় ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ পুলিশ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে,”কিছু অসাধু ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে । এই ধরনের প্রচেষ্টা বিভ্রান্তিকর এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে । যারা মিথ্যা তথ্য এবং বিদ্বেষমূলক প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এবারে সেই জাইব আহমেদকে নিয়ে একটা চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য । তিনি দাবি করেছেন যে মেধাবী ছাত্রদের বঞ্চিত করে গনধর্ষণ কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত জায়েব আহমেদকে কসবা ল’কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ অমিত মালব্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিট লিস্ট (CULET-UG, 2024) পর্যন্ত নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন । সেই তালিকায় ২৬১১ থেকে ২৬৫৫ পর্যন্ত র্যাঙ্ক করা পড়ুয়াদের নাম রয়েছে৷ যেখানে ২৬৩৪ র্যাঙ্কে রয়েছে জায়েব আহমেদের নাম ।
অমিত মালব্য লিখেছেন,’দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজ ধর্ষণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ, CULET-UG 2024-এ 2634 নম্বর পেয়েও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ভর্তি হন! এদিকে, অনেক ভালো নম্বর পাওয়া মেধাবী এবং আইন মেনে চলা ছাত্রদের ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় আপনাকে স্বাগতম—যেখানে আইনের শাসনকে উপহাস করা হয় এবং রাজনৈতিক সংযোগ থাকা অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়। এই মর্যাদাপূর্ণ আইন কলেজে জায়েব আহমেদকে কে আসন দিয়েছে? কে তাকে রক্ষা করছে? আমরা উত্তর দাবি করি। এবং আমরা এখনই তাদের দাবি জানাই।’
উল্লেখ্য,বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী, খবরের চ্যানেল ও বিজেপির অভিযোগ যে কসবা ল’কলেজে গনধর্ষিতার বয়ান অনুযায়ী অভিযোগপত্রের ৪ পাতায় বর্ণিত “জে” সংক্ষিপ্ত নামের জাইব আহমেদ মূলত তার উপর পাশবিক বর্বরোচিত অত্যাচার চালিয়েছিল । কিন্তু সেটা ঢাকতেই “এম” অর্থাৎ মনোজিৎকে মূল আসামি হিসাবে শাসকদল ও পুলিশ তুলে ধরছে বলে অভিযোগ ।।
