এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ ফেব্রুয়ারী : মহাকুম্ভের পূণ্যস্নান শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারী। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত । ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথসহ তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভের পূণ্যস্নান করেছেন । এরাজ্যের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদাররাও মহাকুম্ভের পূণ্যস্নান করে এসেছেন । তবে দেশের বিরোধী দলগুলির হিন্দু নেতাদের মধ্যে মহাকুম্ভ নিয়ে আশ্চর্যরকম অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । এরই মাঝে মহাকুম্ভকে “মৃত্যুকুম্ভ” বলে অবিহিত করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৷ সেই বিতর্কের রেশ পৌঁছে গেছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভাতেও । এই বিতর্কের মাঝেই আজ শুক্রবার মহাকুম্ভে পূন্যস্নান করলেন এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । পূণ্যস্নানের পর তিনি মন্তব্য করেছেন,’পবিত্র গঙ্গা নদীতে স্নান করেই আত্মা তৃপ্ত হয়ে উঠল’৷ শুভেন্দুর এই মন্তব্যকে মমতা ব্যানার্জির ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের জবাব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।
আজ এক্স-এ মহাকুম্ভে পূণ্যস্নানের ভিডিও ভাগ করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’কুম্ভে স্নান করা একটি মহান পুণ্য, এবং ধর্মক্ষেত্রে এটি একটি উৎসব।তিনটি বেদের সঙ্গম ঐশ্বরিক, মুক্তির দ্বার সর্বদা স্মরণীয়।আজ আমি মহা অমৃত কুম্ভমেলার পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার সৌভাগ্য পেয়েছি। পবিত্র গঙ্গা নদীতে স্নান করেই আত্মা তৃপ্ত হয়ে উঠল।কুম্ভ কেবল একটি মহা উৎসব নয়, বরং এটি সনাতন সংস্কৃতির সেই ঐশ্বরিক ধারা, যেখানে বিশ্বাস, ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার এক পবিত্র সঙ্গম ঘটে। এটি ঐক্য, শান্তি এবং সহযোগিতার আদর্শকে সমুন্নত রাখে এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। মহাকুম্ভমেলায় মা গঙ্গার আশীর্বাদ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছি। হর হর গঙ্গে ।’
মহাকুম্ভ মেলা ৪৫ দিন চলবে । ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান করে গেছেন । পূণ্যস্নান করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক। প্রখ্যাত মার্কিন শিল্পপতি স্টিভ জোভসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জোবস। আর পাঁচজন ভক্তের মতোই তিনি সাদামাটা প্রয়াগরাজে ছিলেন । ওঠেন স্বামী কৈলাশানন্দ গিরির আশ্রয়ে । দীর্ঘ দু’সপ্তাহের অধিক তিনি সাত্ত্বিক জীবনযাপন করেন ।
মহাকুম্ভ মেলা প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর হয়। এটি ১২টি পূর্ণকুম্ভমেলার সমন্বয়ে গঠিত। যেকারণে কোনো আধ্যাত্মিক মেলায় জনসমামে নতুন রেকর্ড স্পর্শ করেছে মহাকুম্ভ মেলা। তথ্য বলছে, শুধুমাত্র প্রথম ১১ দিনেই পুণ্যস্নান সেরেছেন ৯ কোটি ৭০ লক্ষ পুণ্যার্থী। ৪৫ দিনে সেটি অর্ধশতক কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান ।।