প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ আগষ্ট : আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তার কে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় চলছে রাজ্য জুড়ে।আর ঠিক এমনই সময়ে বয় ফ্রেন্ডের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন বর্ধমানের এক প্রতিবন্ধী তরুণী। তাঁর বয় ফ্রেন্ডও আক্রান্ত হয়েছে।তবে অবশ্য এতবড় ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তরা কেউ রেহাই পায়নি।অভিযোগ পাওয়ার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পুলিশ তাপস পণ্ডিত,সজল ঘটোয়াল এবং বিক্রম মালিক নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের সবারই এখন ঠাঁই হয়েছে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে । নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দী রেকর্ড করানোর পাশাপাশি তাঁর মেডিকেল টেস্ট ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন,ঘটনাটি ৭ আগষ্ট তারিখে ঘটে। নির্যাতিতা ১০ তারিখ বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ জানান । সেই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি তিনটি থানাকেই তৎপর করা হয়।ওই রাতেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে গণধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।নির্যাতিতার বয় ফ্রেণ্ডকে ওই তিন জনই মারধোর করে। পুলিশ সুপার এও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের টি আই প্যারেড করানো হবে।একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে।আমরা ’ফার্স্ট ট্রাক’ ট্রায়াল শুরু করতে চাইছি। যাতে গুরুতর এই অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ৭ আগষ্ট, বুধবার বর্ধমান নবদ্বীপ রোডের একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। সে আংশিক প্রতিবন্ধী। এই সময় তিন অভিযুক্ত যুবক এসে তাদের ঘিরে ধরে । ‘ আপত্তিকর ‘ অবস্থায় ওই যুগলকে পাওয়া গেছে,এই অজুহাত তুলে তাদের কাছে টাকার দাবি করে অভিযুক্তরা।প্রতিবন্ধী তরুণী ও তাঁর বয় ফ্রেন্ড তাঁদের কাছে টাকা না থাকার কথা জানালে অভিযুক্তরা তরুণীকে নিগ্রহের চেষ্টা করে।তা দেখে তরুণীর বয় ফ্রেন্ড বাধা দেন। তার জন্য তাঁকে মারধর করা হয়।এর পর ওই তিন যুবক মিলে একে একে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনার পর কার্যতই মুশরে পড়েন তরুণী। ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে তিনদিন পর নির্যাতিতা তাঁর বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান মহিলা থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও তোলাবাজির ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধানে নামে। পুলিশ তিন অভিযুক্তকে শক্তিগড় থেকে গ্রেপ্তার করে।।